সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শেষ হলো তিলাওয়াতে কোরআন প্রতিযোগিতা। শনিবার সন্ধ্যায় দেশটির আজমান উম্মুল মোমেনীন উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশনে প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী পর্বে ২৫ জনের মধ্যে তিনটি আলাদা বিভাগে নয়জন প্রতিযোগী বিজয়ী হন। বিজয়ীদের শিক্ষা উপকরণ সহ প্রায় ৩ লাখ টাকার আর্থিক পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় ছোটদের বিভাগের বিজয়ী হয়- আয়শা আক্রাম, উম্মে সাওদা, জাহরা মোবারক; বড়দের বিভাগে- রায়ান মোহাম্মদ, আব্দুল আল নোমান, মিনহাজুল ইসলাম মুর্শেদ এবং হিফজ বিভাগে- নাজিহা নাউফা, আব্দুল কায়ুম, ফাতেমা তাবাসসুম সামিহা বিজয়ী হয়।

আয়োজকরা জানান, প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশুকিশোরদের পবিত্র কোরআন ও ধর্মীয় শিক্ষায় উৎসাহিত করতে রমজানে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে কেবল দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশু-কিশোররা অংশ নিতে পারেন। এই পর্যন্ত প্রতিযোগিতার ছয়টি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবছর যৌথভাবে এই আয়োজন করে বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম, আমিরাত সংবাদ, ইয়াকুব সুনিক ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ স্পোর্টস ক্লাব। এবারের আসরে ধর্মীয় শিক্ষায় অবদানের জন্য মীর কামালকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তেলাওয়াতে কোরআন প্রতিযোগিতা ষষ্ঠ আসরের সভাপতি শাহাদাত হোসেন। মুহাম্মাদ ইছমাইলের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসাইন খান সুমন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জাকির হোসাইন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, হাজী শরাফত আলী, মীর কামাল, সালাম খান, রাজা মল্লিক, আবুল বাশার, সৈয়দ আবু আহাদ, করিমুল হক, মাজহারুল ইসলাম, সেলিম রেজা, বদরুল চৌধুরী, কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, রাশেদুর রহমান চৌধুরী ও নাজমুল করিম প্রমুখ।

অতিথিরা বলেন, দেশের বাইরে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ালেখা করা বাংলাদেশি শিশুকিশোরদের আরবি ও ধর্মীয় শিক্ষায় উৎসাহিত করতে এধরণের প্রতিযোগিতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রতিযোগী এসব শিশুকিশোরদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তারা সুনাম অর্জন করবে।

আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসাইন খান সুমন বলেন, কোমলমতি শিশু-কিশোরদের কোরআন শিক্ষায় আগ্রহ বাড়াতে এই প্রতিযোগিতা বেশ ভূমিকা রাখছে। স্বীকৃত বিচারকদের তত্বাবধানে মাসব্যাপী প্রতিযোগীরা ভিন্ন ভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে চূড়ান্ত পর্বে আসতে হয়। তারা এতেটাই ভাল করেন, চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী নির্ধারণ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।

কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রায় তিন শতাধিক প্রতিযোগী অনলাইনে নিবন্ধন করেছে। সেখান থেকে ক্রমান্বয়ে বাছাই করার পর চূড়ান্ত পর্বে ২৫জন প্রতিযোগী সুযোগ পান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম র ত ক রআন

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর বিবিসির। 

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিটসকে বলেন, “আমার সন্দেহ রয়েছে। আমার মনে হয় না। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করছে।”

আরো পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে নৌযানগুলোতে মার্কিন হামলা অব্যাহত থাকার মধ্যে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এলো। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এই হামলা প্রয়োজনীয়।

ট্রাম্প এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন যে, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান মাদক বন্ধ করার লক্ষ্যে নয়, বরং ট্রাম্প বিরোধী মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি ‘অনেক কিছু’ সম্পর্কে।

বিবিসির মার্কিন নিউজ পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছে।

সম্প্রতি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন হামলায় আপনি যেসব নৌযানে বিস্ফোরণ হতে দেখেন, তার প্রতিটিতে অন্তত ২৫ হাজার মাদকদ্রব্য ধ্বংস হয়। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সরবরাহের জন্য দায়ী।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্থলপথে ভেনেজুয়েলায় হামলার পরিকল্পনা করছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প তা উড়িয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি এটা বলতে চাই না যে আমি এটা করব...আমি ভেনেজুয়েলার সাথে কী করব, আমি তা করব কিনা, তা আমি বলব না।”

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর অভিযোগ, নৌযানগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায় ‘আধিপত্য বিস্তার’ করার চেষ্টা করছে।

ট্রাম্প জানান, তার সরকার ‘সারা বিশ্ব থেকে’ সন্ত্রাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ‘আসতে’ দেবে না।

তিনি বলেন, “তারা কঙ্গো থেকে আসে, তারা সারা বিশ্ব থেকে আসে, তারা আসছে, কেবল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে নয়। তবে বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা- খারাপ। তাদের গ্যাং আছে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট করে ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার’ নাম উল্লেখ করেন। তিনি এটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ গ্যাং’ হিসেবে অভিহিত করেন।

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকে, ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি মাদক পাচারকারী সংগঠন ও অপরাধী গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেনেজুয়েলার ট্রেন দে আরাগুয়া এবং কার্টেল অব দ্য সানস, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা পরিচালনা করে। তবে কারাকাস সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ