আইপিএলে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্পেল, আর্চারের দুঃস্বপ্নের দিন
Published: 23rd, March 2025 GMT
ইংল্যান্ডের পেসার জোফরা আর্চার আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে স্পেলের রেকর্ড গড়েছেন। আজ রোববার (২৩ মার্চ) সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটিং তাণ্ডবে মাত্র ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৭৬ রান!
এর আগে আইপিএলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্পেলের রেকর্ড ছিল মোহিত শর্মার। গত বছর ৭৩ রান দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার আর্চারকে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেন ট্র্র্যাভিস হেড, ঈশান কিশান ও হেইনরিখ ক্লাসেন।
প্রথম ওভারেই হেডের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সামনে বিধ্বস্ত হন আর্চার। এই ওভারে তিনি ২৩ রান দেন, যেখানে ছিল একটি ছয় ও চারটি চার। দ্বিতীয় ওভারে খানিকটা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেলেও সেটাও ছিল ১২ রানের ওভার।
আরো পড়ুন:
অবসর ভেঙে ফিরেই ২৮ বলে ১৫ ছক্কায় ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরি
ভারতকে ফাইনালে তুলে রোহিতের অনন্য রেকর্ড
এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে ফের শুরু হয় তাণ্ডব। তৃতীয় ওভারে ঈশান তিনটি ছয় হাঁকান, যেখানে এই ওভারেই ওঠে ২২ রান। আর শেষ ওভারে নো বলসহ আসে আরও ২৩ রান, যেখানে একের পর এক চার-ছয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় তাকে।
আর্চারের বোলিং বিশ্লেষণ:
১ম ওভার (৫ম ওভার): ৪, ৬, ০, ৪, ওয়াইড, ৪, ৪ → ২৩ রান। ২য় ওভার (১১তম ওভার): ১, ১, ৪, ১, ১, ৪ → ১২ রান। ৩য় ওভার (১৩তম ওভার): ৬, ৬, ১, ১, ওয়াইড, ৬, ১ → ২২ রান। ৪র্থ ওভার (১৮তম ওভার): ৫ (নো বল), ১, ৪, ৪, ৪, ১, ৪ → ২৩ রান।চার ওভারে ১০টি চার ও ৪টি ছয় হজম করে মাত্র ১টি ডট বল দিতে পেরেছেন আর্চার। তার এই স্পেলের কারণে রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে ২৮৬ রান হজম করে, যা আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
তবে আর্চারের এই রেকর্ড এখনো বিশ্বের সবচেয়ে খরুচে স্পেলের ধারে-কাছেও নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে খরুচে স্পেলের রেকর্ড এখনো গাম্বিয়ার মুসা জোবার্থের দখলে, যিনি ২০২৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৩ রান দিয়েছিলেন।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড র কর ড আর চ র ২৩ র ন সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।
প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।
মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।
নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।