ইংল্যান্ডের পেসার জোফরা আর্চার আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে স্পেলের রেকর্ড গড়েছেন। আজ রোববার (২৩ মার্চ) সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটিং তাণ্ডবে মাত্র ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৭৬ রান!

এর আগে আইপিএলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্পেলের রেকর্ড ছিল মোহিত শর্মার। গত বছর ৭৩ রান দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার আর্চারকে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেন ট্র্র্যাভিস হেড, ঈশান কিশান ও হেইনরিখ ক্লাসেন।  

প্রথম ওভারেই হেডের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সামনে বিধ্বস্ত হন আর্চার। এই ওভারে তিনি ২৩ রান দেন, যেখানে ছিল একটি ছয় ও চারটি চার। দ্বিতীয় ওভারে খানিকটা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেলেও সেটাও ছিল ১২ রানের ওভার।

আরো পড়ুন:

অবসর ভেঙে ফিরেই ২৮ বলে ১৫ ছক্কায় ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরি

ভারতকে ফাইনালে তুলে রোহিতের অনন্য রেকর্ড

এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে ফের শুরু হয় তাণ্ডব। তৃতীয় ওভারে ঈশান তিনটি ছয় হাঁকান, যেখানে এই ওভারেই ওঠে ২২ রান। আর শেষ ওভারে নো বলসহ আসে আরও ২৩ রান, যেখানে একের পর এক চার-ছয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় তাকে।

আর্চারের বোলিং বিশ্লেষণ:

১ম ওভার (৫ম ওভার): ৪, ৬, ০, ৪, ওয়াইড, ৪, ৪ → ২৩ রান।   ২য় ওভার (১১তম ওভার): ১, ১, ৪, ১, ১, ৪ → ১২ রান।   ৩য় ওভার (১৩তম ওভার): ৬, ৬, ১, ১, ওয়াইড, ৬, ১ → ২২ রান।   ৪র্থ ওভার (১৮তম ওভার): ৫ (নো বল), ১, ৪, ৪, ৪, ১, ৪ → ২৩ রান।  

চার ওভারে ১০টি চার ও ৪টি ছয় হজম করে মাত্র ১টি ডট বল দিতে পেরেছেন আর্চার। তার এই স্পেলের কারণে রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে ২৮৬ রান হজম করে, যা আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।  

তবে আর্চারের এই রেকর্ড এখনো বিশ্বের সবচেয়ে খরুচে স্পেলের ধারে-কাছেও নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে খরুচে স্পেলের রেকর্ড এখনো গাম্বিয়ার মুসা জোবার্থের দখলে, যিনি ২০২৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৩ রান দিয়েছিলেন।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড র কর ড আর চ র ২৩ র ন সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ