বাংলা‌দেশ সেনাবা‌হিনী‌কে জা‌তির আশা ভরসার প্রতীক উ‌ল্লেখ ক‌রে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নি‌য়ে অযা‌চিত মন্তব্য, বিভ্রা‌ন্তি সৃস্টি ও  বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থে‌কে বিরত থাক‌তে আহ্বান জা‌নি‌য়ে‌ছেন জাতীয় পার্টির (রওশন) মহাসচিব কাজী মামুনুর রশিদ।

তি‌নি বলেন, “দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা যাবে না। দেশের ক্রান্তিকালে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী সবসময় দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেনাপ্রধানকে বিতর্কিত করার কোনো সুযোগ নেই।”

রবিবার (২৩ মার্চ) দলটির দপ্তর সম্পাদক আবুল হাসান আহমেদ জুয়েল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বানের কথা হয়।

কাজী মামুন বলেন, “৫ আগস্ট পট-পরিবর্তনের পর সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা সকলের মনে রাখা উচিত। তারা যদি মাঠে না থাকতো তাহলে দেশ আজ কোথায় দাঁড়াতো? সবকিছু মনে রাখতে হবে।”

সেনাবাহিনীকে কোনো অবস্থাতেই জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো যাবে না মন্তব্য ক‌রে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, “সেনানিবাস ও সেনাপ্রধানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হলে, সেটা জাতির জন্য ভালো হবে না। কিছু মানুষের বক্তব্য শুনলে মনে হয় সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করালেই যেনো তারা ক্ষমতার মসনদে বসতে পারবে। এসব কথাবার্তা দেশকে অনিশ্চিত পথে ধাবিত করছে। আবেগের বশর্বর্তী হয়ে যারা সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টায় লিপ্ত, তাদের কথাবার্তায় লাগাম দেওয়া উচিত। আমাদের মনে রাখতে হবে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এদেশের মানুষের আশা ভরসার প্রতীক।”

কাজী মামুন বলেন, “সশস্ত্রবাহিনী দেশ মাতৃকার সেবায় সবসময় নিয়োজিত। দেশবাসীর প্রয়োজনে সশস্ত্রবাহিনী কখনো সেনানিবাসে বসে থাকেনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের ডাকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে থাকে। জাতীয় পার্টি মনে করে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানকে নি‌য়ে যারা এই অপচেষ্টায় লিপ্ত, তারা মূলত দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে নিয়ে চক্রান্ত করছে।” 

স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির এ ধরনের সকল অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার জন্য দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান তিনি।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এমন রাত বাড়তে থাকলে একসময় ইসরায়েলিরা প্রশ্ন তুলবে, ‘আমরা কোথায় যাচ্ছি?’

আকাশপথে ইরানের চালানো পাল্টা হামলা থেকে ইসরায়েলিরা কতটা সুরক্ষিত? এই প্রশ্নের উত্তর ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজের সাংবাদিক গিদেওন লেভির কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছে আল-জাজিরা।

গিদেওন লেভি আল-জাজিরাকে বলেন, বেশির ভাগ ইসরায়েলি আকাশপথের হামলা থেকে ‘খুব ভালোভাবে সুরক্ষিত’।

তবে গিদেওন লেভি বলেন, এমন হামলা চলতে থাকলে ইসরায়েলিরা একসময় শুধু ক্লান্ত আর ভীতই হবেন না, একসময় যুদ্ধের পর যুদ্ধ নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলবেন। এভাবে তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন।

আরও পড়ুনখামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা ট্রাম্পের আটকানোর কথা জানিয়ে দেওয়ার মানে কী৩ ঘণ্টা আগে

গত শুক্রবার ভোররাতে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। চলমান ইসরায়েলি হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের অন্তত ২০ জন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। ইরানও পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানের হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন।

আকাশপথে চালানো হামলা থেকে ইসরায়েলিদের সুরক্ষার ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিক গিদেওন লেভি বলেন, ইসরায়েলে ‘অ্যালার্ম সিস্টেম’ খুব কার্যকরভাবে কাজ করে। এবার তাঁরা ‘সাইরেন’ বাজার অনেক আগেই ‘অ্যালার্ম’ পাচ্ছেন। ফলে তাঁরা নিজেদের প্রস্তুত করার সময় পাচ্ছেন। যেমন তেল আবিবের বেশির ভাগ এলাকায় অনেকর আশ্রয়কেন্দ্র আছে। তা ছাড়া নতুন প্রতিটি ভবনেই নিজস্ব আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ কক্ষ থাকে। এই দিক থেকে দেখলে ইসরায়েলের সাধারণ জনগণ যথেষ্ট সুরক্ষিত।

ইসরায়েলে ‘অ্যালার্ম সিস্টেম’ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আকাশপথে হামলার বিষয়ে লোকজনকে আগাম সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। অন্যদিকে কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় আকাশপথে হামলা শুরু হওয়ার আগমুহূর্তে ‘সাইরেন’ বাজানো হয়।

আরও পড়ুনইসরায়েল প্রশ্নে কেন মোদির অবস্থান নরম, কড়া সমালোচনা কংগ্রেসের৩ ঘণ্টা আগে

তবে গিদেওন লেভি উল্লেখ করেন, এই সুরক্ষা সব ইসরায়েলির জন্য সমান নয়। যেমন বেদুইন জনগোষ্ঠী কিংবা ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি নাগরিকেরা এ সুবিধা পান না।

এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলের উত্তরের ফিলিস্তিনের প্রধান শহর তামরার উদাহরণ দেন গিদেওন লেভি। শহরটিতে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ বসবাস করে। এখানে গতকাল রোববার একটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় অন্তত চারজন নিহত হন। এখানে কোনো সুরক্ষা আশ্রয়কেন্দ্র নেই। কিন্তু পাশের একটি এক হাজার জনসংখ্যা–অধ্যুষিত ইহুদি গ্রামে একাধিক আশ্রয়কেন্দ্র আছে বলে জানান গিদেওন লেভি।

সাংবাদিক গিদেওন লেভি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এ রকম রাত যত বাড়বে, ইসরায়েলিরা শুধু ক্লান্ত আর ভীতই হবেন না, বরং একসময় আমরা শেষমেশ নিজেরাই প্রশ্ন করতে শুরু করব—এর কি কোনো মূল্য আছে? আমরা কোথায় যাচ্ছি? এক যুদ্ধ থেকে আরেক যুদ্ধে? এক গোলাবর্ষণ থেকে আরেক গোলাবর্ষণে? কারণ, এবারের পরিস্থিতি গাজা বা লেবাননের মতো নয়। এবার বেসামরিক জনগণের খেসারত হতে পারে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। তাই ইসরায়েল কয়েক দিন এটা সহ্য করতে পারবে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে নয়।’

ইসরায়েলের গুপ্তহত্যার পর ইরানের নতুন সামরিক নেতৃত্বে কারা এলেনইসরায়েলি হামলায় নিহত আইআরজিসি গোয়েন্দাপ্রধান কাজেমি কে ছিলেনইরান-ইসরায়েলের হামলা, পাল্টা হামলা: সর্বশেষ কী জানা গেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এমন রাত বাড়তে থাকলে একসময় ইসরায়েলিরা প্রশ্ন তুলবে, ‘আমরা কোথায় যাচ্ছি?’
  • লন্ডন বৈঠকে কারও দায়মুক্তির প্রসঙ্গ ছিল না: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • ইরানের শাসকদের ক্ষমতাচ্যুত করার আহ্বান সাবেক শাহের পুত্রের
  • আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন ইশরাক হোসেন
  • আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিলেন ইশরাক হোসেন
  • আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা ইশরাকের
  • রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জনগণের হিস্যা কোথায়
  • লন্ডন বৈঠকে অবিশ্বাস দূর, সরকারের সম্মানজনক প্রস্থানের পথ সুগম হবে: সাইফুল হক
  • বাজেটের ত্রুটি সংশোধনের আহ্বান
  • ড. ইউনূসকে দেশের কাজে যুক্ত রাখতে চায় বিএনপি