এবার চ্যাট ও চ্যানেলে মোশন ছবি শেয়ারের সুবিধা চালু করতে কাজ শুরু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ডব্লিউএবেটা ইনফো জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের সর্বশেষ বেটা সংস্করণ ২.২৫.৮.১২-তে এরই মধ্যে সুবিধাটি যুক্ত করা হয়েছে। সুবিধাটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি।

মোশন ছবি হলো একটি বিশেষ ধরনের ছবি। যেখানে ক্যামেরার শাটার চেপে স্থিরচিত্রের পাশাপাশি কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও ও অডিও রেকর্ড হয়। গুগল পিক্সেল ফোনে এটি ‘টপ শট’ আর আইফোনে এটি ‘লাইভ ছবি’ নামে পরিচিত। এখন হোয়াটসঅ্যাপে মোশন ছবি পাঠানো গেলেও তা স্থিরচিত্রে রূপান্তরিত হয়ে যায়। নতুন এই সুবিধা চালু হলে ব্যবহারকারীরা মোশন ছবি ভিডিও আকারে পাঠাতে পারবেন, যা প্রাপকের ফোনে অ্যানিমেটেড ভিডিও আকারে দেখা যাবে।

ডব্লিউএবেটা ইনফো জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের নতুন আপডেটে মিডিয়া পিকার অপশনে একটি নতুন একটি আইকন যোগ করা হবে। এটি পপআপ কার্ডের ওপরের ডান পাশে এইচডি বাটনের পাশে দেখা যেতে পারে। আইকনটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা মোশন ছবি পাঠানোর আগে সুবিধাটি চালু বা বন্ধ করতে পারবেন।

মোশন ছবি ধারণের সুবিধা নির্দিষ্ট কিছু অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে সীমিত হলেও হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে যেকোনো ফোনেই এই ছবি দেখা যাবে। অর্থাৎ যার ফোনে মোশন ছবি তোলার সুবিধা নেই, সে–ও অন্যদের পাঠানো মোশন ছবি দেখতে পারবেন। আইফোন ব্যবহারকারীরা এটি ‘লাইভ ছবি’ হিসেবে উপভোগ করতে পারবেন।
সূত্র: গ্যাজেটস৩৬০

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প প রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

দুই সপ্তাহের মধ্যে তেহরানে সুপেয় পানি ফুরিয়ে যেতে পারে

তীব্র খরার কবলে পড়েছে ইরানের রাজধানী তেহরান। সেখানে বাসিন্দাদের সুপেয় পানির প্রধান উৎসটি দুই সপ্তাহের মধ্যে শুকিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ গতকাল রোববার এ খবর জানিয়েছে।

তেহরানে পানি সরবরাহ কোম্পানির পরিচালক বেহজাদ পারসার বরাত দিয়ে আইআরএনএর খবরে বলা হয়, তেহরানে খাবার পানি সরবরাহের পাঁচটি উৎসের একটি আমির কবির বাঁধ। সেটিতে এখন মাত্র ১ কোটি ৪০ লাখ ঘনমিটার পানি আছে। এটি জলাধারটির মোট ধারণক্ষমতার মাত্র ৮ শতাংশ।

বেহজাদ পারসা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই পরিমাণ পানি দিয়ে মাত্র দুই সপ্তাহ তেহরানের খাবার পানির চাহিদা মেটানো যাবে।

ইরানি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তেহরানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানির প্রয়োজন পড়ে।

কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র খরার মোকাবিলা করছে ইরান। গত মাসে স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, তেহরান প্রদেশে এবার বৃষ্টির যে মাত্রা, তেমনটা গত এক শতাব্দীতে খুব একটা দেখা যায়নি।

এক কোটির বেশি মানুষের নগর তেহরান তুষারাচ্ছন্ন আলবোর্জ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত। এই পর্বতমালার সর্বোচ্চ উচ্চতা ৫ হাজার ৬০০ মিটার (১৮ হাজার ৩৭০ ফুট) পর্যন্ত। এই পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন নদীগুলো বহু জলাধারে পানির জোগান দেয়।

বেহজাদ পারসা বলেন, এক বছর আগেও আমির কবির বাঁধে ৮ কোটি ৬০ লাখ ঘনমিটার পানি ছিল। কিন্তু তেহরান অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় শতভাগ হ্রাস পেয়েছে।

তেহরানে পানি সরবরাহ করা বাকি জলাধারগুলোর বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি এই কর্মকর্তা।

ইরানি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তেহরানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানির প্রয়োজন পড়ে।

এক বছর আগেও আমির কবির বাঁধে ৮ কোটি ৬০ লাখ ঘনমিটার পানি ছিল। কিন্তু তেহরান অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় শতভাগ হ্রাস পেয়েছে।বেহজাদ পারসা, তেহরানে পানি সরবরাহ কোম্পানির পরিচালক

পানি সাশ্রয়ের পদক্ষেপ হিসেবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তেহরানের বেশ কয়েকটি এলাকায় বারবার সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আর চলতি গ্রীষ্মে ঘন ঘন পানি সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘটনাও ঘটেছে।

জুলাই ও আগস্টে পানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য দুই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ইরানে সে সময় তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিদিন একাধিকবার লোডশেডিং হয়েছে।

ওই দুই মাসে তেহরানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছুঁয়ে গিয়েছিল।

জুলাই ও আগস্ট মাসে তেহরানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ফারেনহাইট) ছুঁয়ে ছিল।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘আজ যেভাবে আলোচনা হয়েছে, পানিসংকট পরিস্থিতি তার চেয়েও গুরুতর।’

ইরানজুড়ে পানিসংকট একটি বড় সমস্যা, বিশেষ করে দেশের দক্ষিণের শুষ্ক প্রদেশগুলোতে। ভূগর্ভস্থ সম্পদ ব্যবহারে অব্যবস্থাপনা ও সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহারকে পানি ঘাটতির জন্য দায়ী করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে ভূমিকা রাখছে।

আরও পড়ুনপ্রচণ্ড গরমে পানির ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় ইরানিদের কম পানি ব্যবহারের আহ্বান২০ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ