আইপিএল শুরু হয়েছে, ম্যাচ দেখা যাচ্ছে টফিতে
Published: 24th, March 2025 GMT
আইপিএলের এবারের সিজন শুরু হয়ে গেছে। ক্রিকেটপ্রেমীরা যেন এবারের আইপিএলের টানটান উত্তেজনাময় মুহূর্তগুলো নির্বিঘ্নে উপভোগ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে এই সিজনের সব ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘টফি’।
দর্শকদের জন্য আরও ভালো অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে নতুন ইন্টারফেস নিয়ে এসেছে টফি। রাস্তা, কর্মক্ষেত্রে, টফির অন-দ্য-গো ভিউয়িং এবং রিমোট ভিউয়িং অপশনের মাধ্যমে সবাই খুব সহজে আইপিএলের ম্যাচ দেখতে পারবেন।
বাংলালিংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার (সিডিও) গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘টফি গ্রাহকদের জন্য নির্বিঘ্ন ও সহজলভ্য বিনোদন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশে আইপিএলের সময় বিপুল উত্তেজনা বিরাজ করে; মানুষের এই আগ্রহ বিবেচনায় নিয়ে আমরা টফি ব্যবহারকারীদের জন্য সব ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করব। ফলে, দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা যেকোনো সময় এবং যেকোনো জায়গা থেকে এই টুর্নামেন্টের প্রতিটি উত্তেজনাপূর্ণ ও রোমাঞ্চকর মুহূর্ত উপভোগ করতে পারবেন।’
দর্শকদের সাশ্রয়ী মূল্যে এই প্রিমিয়াম কনট্যান্ট অফার করছে টফি। ২০ টাকায় ১ দিন, ৫০ টাকায় ৭ দিন এবং ৯৯ টাকায় ৩০ দিনের জন্য আইপিএল ম্যাচ দেখার সুযোগ পাবেন গ্রাহক। বিকাশ এবং ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট সুবিধা রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।