খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক এবং তার স্ত্রী বাগেরহাট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক বন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা হয়েছে। তাদের ৭টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি সঞ্চয়পত্রে মোট ৮ কোটি ১০ লাখ ২৯ হাজার টাকা জমা ছিল।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার খুলনা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো.

শরীফ হোসেন হায়দার এ আদেশ দেন।

দুদক খুলনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ জানান, তালুকদার আবদুল খালেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে ঢাকা ও খুলনার বিভিন্ন ব্যাংকে এসব টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এই হিসাব অবরুদ্ধ করা না হলে তারা টাকা তুলে নিতে পারেন। এজন্য হিসাব অবরুদ্ধের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন গ্রহণ করেছেন। 

দুদকের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম জানান, তালুকদার আবদুল খালেকের নামে আইএফআইসি ব্যাংকের খুলনা শাখায় ৫ কোটি টাকা ও এনসিসি ব্যাংকে ৬৫ লাখ টাকার দুটির এফডিআরসহ ৫টি ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি ২৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা রয়েছে। হাবিবুন নাহারের নামে ৩টি সঞ্চয়পত্র ও দুটি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৮০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আবদ ল

এছাড়াও পড়ুন:

না’গঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের আড়াই কোটি টাকার অনুদান ও সঞ্চয়পত্র প্রদান 

জুলাই গণঅভ্যত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন জুলাই যোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত আর্থিক অনুদানের চেক ও তিন শহীদ পরিবারের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ আর্থিক অনুদানের চেক ও  সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মানিত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আহত জুলাই যোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার, শহিদ পরিবারের সদস্যগণ, ছাত্র প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।

এ সময় ৪ জন শহিদ পরিবারের সদস্যের প্রত্যেককে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন যোদ্ধাকে এককালীন ১ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর সন্তানরা আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। তাঁদের সাহসিকতা, আত্মত্যাগ ও অদম্য চেতনা আমাদের জাতি পুনর্গঠনের অনুপ্রেরণা। আমরা বিশ্বাস করি, এই যোদ্ধাদের সাহসিকতা দিয়েই গড়ে উঠবে একটি নতুন, উদ্ভাসিত বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন-অগ্রগতির যাত্রায় আমরা তরুণ সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করি। সম্মিলিত প্রচেষ্টাই গড়ে তুলবে একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল নারায়ণগঞ্জ।

এদিকে এ অনুষ্ঠানটি শুধু অনুদান বিতরণ নয়, বরং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানানোর এক অনবদ্য প্রয়াস হয়ে উঠেছিল।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • না’গঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের আড়াই কোটি টাকার অনুদান ও সঞ্চয়পত্র প্রদান 
  • জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের সাবেক ডিজির এনআইডি ব্লক