উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের ‘এ’ ব্লকে নির্মিত গ্রস ১৬৫৪ বর্গফুট আয়তনের ১৭২টি ফ্ল্যাট লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। 

সোমবার রাজউক অডিটোরিয়ামে এই লটারি অনুষ্ঠিত হয়।

রাজউক আয়োজিত লটারির স্বচ্ছতা বজায় রাখতে অত্যাধুনিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে তিন ধাপে বাছাইকরণ শেষে সর্বমোট ৩ হাজার ৪৩৩ আবেদনকারীর মধ্যে ৩ হাজার ১৩৪টি আবেদন বাছাই করা হয়। এর মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে ১৭২ জন আবেদনকারী ফ্ল্যাট সাময়িক বরাদ্দ প্রাপ্তির জন্য নির্বাচিত হন।

উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের ‘এ’ ব্লকে মোট ৭৯টি ভবনে ৬ হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে যার মধ্যে ইতোমধ্যে বরাদ্দকৃত ফ্ল্যাট সংখ্যা ৬ হাজার ৪৬৪টি। সমগ্র প্রকল্প এলাকার ৫৫ শতাংশ জমি খেলার মাঠ, পার্ক, সবুজায়ন এবং রাস্তার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। প্রতিটি ভবনের রয়েছে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, রেইন ওয়াটার হারভেস্ট সিস্টেম, এলপি গ্যাস সরবরাহের প্রযুক্তি। 

অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রকল্পের মতো বৃহৎ পরিসরের সব ধরনের নাগরিক সুযোগ সুবিধাসহ এমন আবাসিক এলাকা নগরবাসীর জীবনে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। আজকের এই লটারি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে রাজউক বদ্ধপরিকর। স্বচ্ছভাবে লটারি কার্যক্রম পরিচালনায় ফ্ল্যাট বরাদ্দ প্রত্যাশীরাও সন্তুষ্ট হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- রাজউকের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) ড.

মো. আলম মোস্তফা, সদস্য (উন্নয়ন ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) হারুন-অর-রশীদ প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জউক র টম ন ট প প রকল প বর দ দ র জউক

এছাড়াও পড়ুন:

সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্যের ৪৫% রাজনৈতিক

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত ভুল তথ্য ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এ সময়ে যাচাই করা ভুল তথ্যের ৪৫ শতাংশই ছিল রাজনৈতিক। গতকাল বুধবার তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত ভুল তথ্য ছিল ১ শতাংশ। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে তা বেড়ে ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সংখ্যার হিসাবে গত প্রান্তিকে এ ধরনের ভুল তথ্য ছিল মাত্র ১১টি। সেটি এ বছরের প্রথম তিন মাসে সাত গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭টিতে। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ-সংশ্লিষ্ট আটটি ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পেয়েছে ডিসমিসল্যাব। 

সংস্থাটির গবেষণায় দেখা গেছে, জানুয়ারি-মার্চ সময়ে ফ্যাক্ট চেক প্রতিষ্ঠানগুলো ১ হাজার ২৩৬টি তথ্য যাচাইয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র ভুল তথ্য পাওয়া গেছে ৮৬৭টি, যা আগের প্রান্তিকে রেকর্ড করা ৮১৬টির তুলনায় কিছুটা বেশি। ভুল তথ্যের প্রায় অর্ধেকই (৪৫ শতাংশ) রাজনীতি সম্পর্কিত ছিল। এর পর ছিল ধর্ম-সংক্রান্ত ভুল তথ্য (১৩ শতাংশ), যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় সামান্য কম।

অপরাধ-সম্পর্কিত ভুল তথ্য বেড়েছে 

বছরের প্রথম তিন মাসে প্রচারিত খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই ও ডাকাতি-সংক্রান্ত খবর ছিল ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনা ছিল ভারতের, যা বাংলাদেশের বলে ভুলভাবে প্রচার করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে একটি ইউটিউব চ্যানেলে হোটেল থেকে লাফিয়ে পড়া এক ভিডিও প্রচার করে বাংলাদেশের বলে দাবি করা হয়, কিন্তু সেটি ছিল মূলত ইন্দোনেশিয়ার।

 রাজনৈতিক ভুল তথ্য 

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে যাচাই করা ভুল তথ্যের ৪৫ শতাংশই রাজনৈতিক। আগের বছরও রাজনীতি-সংক্রান্ত ভুল তথ্য প্রচারিত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ (৩৪.৮ শতাংশ) ও অন্তর্বর্তী সরকারকে (২১.৮ শতাংশ) নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। তবে আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করে প্রচারিত ভুল তথ্যগুলোর অধিকাংশই (৬৮ শতাংশ) ছিল ইতিবাচক। অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি, জামায়াত-শিবির ও সমন্বয়কদের নিয়ে ছড়ানো অধিকাংশ ভুল তথ্য ছিল নেতিবাচক।

 ধর্ম-সংক্রান্ত ভুল তথ্য

ধর্ম-সম্পর্কিত ভুল তথ্যের সংখ্যা সর্বশেষ প্রান্তিকে কিছুটা কমেছে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে ধর্ম-সংক্রান্ত ভুল তথ্যের পরিমাণ ছিল মোট যাচাইকৃত ভুল তথ্যের ১৮ শতাংশ, যা চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ শতাংশে। তবে এর ধরন ছিল একই রকমের। যেমন, পুরোনো বা সম্পাদিত ছবি-ভিডিও সাম্প্রতিক বলে প্রচার করা। 

বেড়েছে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুল তথ্য 

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভুল তথ্যের পরিমাণ বাড়তে দেখা গেছে। ২০২৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুল তথ্য নিয়ে প্রকাশিত হয়েছিল ২৭টি ফ্যাক্ট চেক প্রতিবেদন। সেখানে এ বছরের প্রথম তিন মাসে এই সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪টিতে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব ভুল তথ্যের ২৪ শতাংশ ছিল রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ