প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ নিউজিল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। অবশ্য শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের জেরে কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডে ৬.৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কম্পনের জেরে সুনামির কোনও হুমকি আছে কিনা তা মূল্যায়ন করেছে দেশটির দুর্যোগ সংস্থা।

নিউজিল্যান্ডের জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, সাউথল্যান্ড এবং ফিওর্ডল্যান্ড অঞ্চলের বাসিন্দাদের সমুদ্র সৈকত এবং সামুদ্রিক এলাকা থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ তীব্র এবং অস্বাভাবিক স্রোত বিপদ ডেকে আনতে পারে।

নিউজিল্যান্ডের সাব-অ্যান্টার্কটিক দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত স্নারেস দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ৩৩ কিলোমিটার (২১ মাইল) গভীরে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে বলে জিওনেট এক সতর্কতায় জানিয়েছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, পূর্বে এই কম্পনের মাত্রা ৭ বলা হলেও পরে তা কমিয়ে আনা হয় এবং এই ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীরে ঘটেছে।

প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ড ভূমিকম্পগতভাবে সক্রিয় ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত, যা প্রশান্ত মহাসাগরের বেশিরভাগ অংশকে ঘিরে রেখেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ ম কম প ভ ম কম প

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ