‘কেশরী ২’ ছবির প্রথম ঝলকে ভারতের ইতিহাসের কালো অধ্যায়
Published: 25th, March 2025 GMT
বলিউডে দেশাত্মবোধক সিনেমা হলেই ডাক পড়ে অক্ষয় কুমারের। ‘মিশন মঙ্গল’, ‘কেশরী’ ‘স্কাই ফোর্স’, ‘এয়ারলিফ্ট’, ‘মিশন রানিগঞ্জ’ থেকে শুরু করে ফিল্মি কেরিয়ারে এমন অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এবার সেই তালিকায় সংযোজন ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ জালিয়ানওয়ালাবাগ’।
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড অবলম্বনে সিনেমা তৈরির কথা বছর চারেক আগেই ঘোষণা করেছিলেন প্রযোজক করণ জোহর। সেসময় জানা গিয়েছিল ‘কেশরী’ ছবির সিকুয়েলে ব্রিটিশদের নির্মম অত্যাচারের কাহিনি ফুটে উঠবে।
সোমবার সিনেমার টিজার প্রকাশ্যে এসেছে। প্রথম ঝলকেই আইনজীবীর ভূমিকায় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে রগরগে সংলাপে নজর কাড়লেন অক্ষয় কুমার।
১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ঝলকে প্রথম ৩০ সেকেন্ড কোনওরকম ভিস্যুয়াল নেই। শুধুই আর্তনাদ, বাঁচার করুণ আর্তি আর কয়েক রাউন্ড গোলাগুলোর আওয়াজ! তারপর সব স্তব্ধ। এরপরই গুরুদ্বারে সি শংকরণ নায়ারের ভূমিকায় অক্ষয় কুমারকে প্রার্থনা করতে দেখা যায়। পরের দৃশ্যেই তিনি ডাকসাইটে আইনজীবী। কালো পোশাকে কোর্টরুমে ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে ‘অশ্রাব্য’ অথচ ‘যথাযোগ্য ভাষায়’ প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। পয়লা ঝলকেই ডাকাবুকো বডি ল্যাঙ্গুয়েজে দেশপ্রেম উসকে দিলেন অক্ষয় কুমার।
আগামী ১৮ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ জালিয়ানওয়ালাবাগ’। যে ছবিতে খিলাড়ির পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে আর মাধবন এবং অনন্যা পাণ্ডেকে। যৌথ প্রযোজনায় করণ জোহরের ধর্মা প্রডোকশনস এবং কেপ অফ গুড ফিল্মস।
ভারতীয় ইতিহাসে এখনও দগদগে ঘায়ের মতো জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড। ১৯১৯ সালের এপ্রিল মাসে জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে নিরস্ত্র মানুষদের উপর গুলি চালায় ব্রিটিশ সৈনিকরা। জালিয়ানওয়ালাবাগ মাটি ভিজেছিল ভারতীয়দের রক্তের স্রোতে। প্রতিবাদের তীব্র আগুন সঞ্চারিত হয় সারা দেশে। সংশ্লিষ্ট হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ইংরেজ সরকারের দেওয়া ‘নাইটহুড’ উপাধি ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গণহত্যার বিচারের দাবিতে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে মুখোমুখি হয়েছিলেন সি শংকরণ নায়ার। সেই প্রেক্ষাপটেই তৈরি হয়েছে ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ল য় নওয় ল ব গ
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল