সন্ধ্যায় গাজীপুরের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয়েছে তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবালকে। হার্ট অ্যাটাকের পর গতকাল সকাল থেকে ওই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন তিনি।

সন্ধ্যায় ঢাকায় আসার পর রাতে তাঁকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

তামিমের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে আছেন। এতক্ষণ পালস না থাকার পরও সে রকম ফিজিক্যাল ড্যামেজও হয়নি। আমি মনে করি যে খুব দ্রুত উনি রিকভার করবেন.

..উনার মানসিক যে শক্তি দেখলাম। উনার পরিবারের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সবাই এখন স্বস্তিতে আছেন। ডাক্তাররা নিয়মিত দেখছেন। আশা করি, খুব দ্রুত কেবিনেও ফিরে আসবেন এবং সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

উন্নত চিকিৎসার জন্য তামিমকে দেশের বাইরে নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘এখনো ডাক্তারদের সঙ্গে পরিবার কথা বলছে। যদি তারা কোনো পরামর্শ দেন, তাহলে পরিবার দেখবে।’

আরও পড়ুনহাসপাতাল থেকে নিজের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানালেন তামিম৭ ঘণ্টা আগে

কাল বিকেএসপিতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের আগে হার্ট অ্যাটাক হয় তামিমের। কেপিজে হাসপাতালেই তাঁর হার্টে রিং পরানো হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আরও তিন মাসের মতো সময় লাগবে তামিমের।  

তামিমর খোঁজখবর নিতে রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান ক্রীড়া উপদেষ্টা

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা

খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন। 

দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”

ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত।  তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।” 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ