শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান হরমুজ মুন্সির বাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাতে ইউনিয়নের সুরেশ্বর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

আজিজুর রহমান হরমুজ মুন্সি বলেন, “আমি সব সময় মানুষের জন্য রাজনীতি করেছি। রাতে আগে কে বা কারা আমার বাড়িতে এবং আমার শোবার ঘরের জানালায় বোমা নিক্ষেপ করে। এখন পর্যন্ত একটি বোমা অবিস্ফরিত রয়ে গেছে।”

তিনি বলেন, “আমাকে হত্যার উদ্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যারা জড়িত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমি তাদের বিচার চাই।”

আরো পড়ুন:

নড়াইলে বিএনপি অফিসে বোমা হামালার ঘটনায় মামলা

নড়াইলে বিএনপি অফিসে ‘বোমা’ হামলা, আহত ৩

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, একদল সন্ত্রাসী আজিজুর রহমান হরমুজ মুন্সির বাড়িতে রাতে প্রবেশ করে। তারা বিএনপি নেতার ঘরের সামনে কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণের শব্দে আশেপাশে মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।

বিএনপি নেতার প্রতিবেশী সারফিন খান বলেন, “কিছুদিন আগে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগরের বাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে। আজ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হরমুজ মুন্সির বাড়িতে হামলা হলো। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) ড.

আশিক মাহমুদ বলেন, “খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ হরম জ ম ন স র রহম ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ