পবিত্র ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক মিলিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ৯দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। স্থলবন্দর বন্ধ থাকলেও সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন দিয়ে চালু থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে সাপ্তাহিক ছুটিসহ ৯দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই স্থলবন্দরে ভারত থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে আগামী ৬ এপ্রিল সকাল থেকে স্বাভাবিক হবে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
আরো পড়ুন:
পার্কিং জটিলতায় ভোমরাস্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ
পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম বলেন, সাপ্তাহিক ছুটিসহ ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৯দিনের জন্য বন্ধ থাকবে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ছুটি শেষে যথা নিয়মে আবারও শুরু হবে বন্দরের কার্যক্রম।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব রুহুল আমিন বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটির বিষয়টি ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দর কাস্টমস, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আমদ ন আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কাহালুর জামাই মেলায় মানুষের ঢল
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার পৌর এলাকার পাল্লাপাড়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে কাহালু সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আয়োজন করা হয়। মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী লাঠি ও পাতা খেলা। শিশু-কিশোরদের জন্য ছিল নাগরদোলা ও নৌকাদোল।
মেলা উপলক্ষে নতুন জামাই ও আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ জানানো হয় আশপাশের কয়েকটি গ্রামে। বাড়িতে বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের ধুম পড়ে। এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বেড়াতে আসেন মেয়েজামাই। তারা একসঙ্গে কেনাকেটা করেন। বাঁশ, মাটি ও প্লাস্টিকের তৈরি খেলনার পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতা। ছিল নারীদের প্রসাধনীর দোকানও।
এদিন অতিথি আপ্যায়নে মিষ্টির দোকানগুলোয় ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। হরেক রকমের মিষ্টি তৈরি করে বিক্রি করছেন দোকানি। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, তালের শাঁসসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করতে দেখা যায়। চটপটি, বারোভাজা ও ফুসকার দোকানেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এ মেলা ঘিরে আশপাশের এলাকায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। শিশু-কিশোরদের বাজানো বাঁশির শব্দ ছিল পুরো এলাকায়। মেলায় কথা হয় পাল্লাপাড়া গ্রামের জামাই মোরশেদ আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এক বছর আগে বিয়ে করেছেন এলাকায়। কয়েকদিন আগে ঈদের দাওয়াতে এসেছিলেন শ্বশুরবাড়ি। এদিন আসেন জামাই মেলা উপলক্ষে।
মেলায় সকালে মাছ ও মাংসের দোকান বসে। বিকেলে ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করেই মানুষের ঢল নামে। শিশু-কিশোরদের হাত ধরে মেলায় ঘুরতে আসেন অভিভাবকসহ স্বজনরা। শিশুদের বায়না মেটাতে হিমশিম খেতে হয় অনেককে।
আয়োজকদের অন্যতম সাবেক কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক বলেন, ৩৫ বছর থেকে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এলাকার জামাইদের দাওয়াত করা হয় বলে এটি ‘জামাই মেলা’ হিসেবে পরিচিত। এ মেলা এখন এলাকার ঐতিহ্য।