বান্দরবান জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক কারাগারে
Published: 26th, March 2025 GMT
বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আজ বুধবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মিরপুর মডেল থানা এলাকার সেনপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপদ দাশ (৫৪) বান্দরবান পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারমাঠ এলাকার বাসিন্দা। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দায়িত্বে ছিলেন।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) আব্দুল করিম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বান্দরবান পার্বত্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাশকে ২৫ মার্চ মিরপুর মডেল থানার সেনপাড়া পর্বতা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর পেয়ে বান্দরবান জেলা পুলিশের একটি স্কট দল ঢাকায় গিয়ে হেফাজতে নেয়। ২৬ মার্চ বান্দরবানে নিয়ে আসা হয়।
গত বছর জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ, মারধর, হত্যাচেষ্টাসহ ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বান্দরবান সদর থানায় পাঁচটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। এসব মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামী। এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়।
শুনানি শেষে আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন আওয় ম ল গ ব ন দরব ন
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত