অনাথ শিশুদের সাথে পরিবার নিয়ে ইফতার করলেন পঞ্চগড়ের ডিসি
Published: 27th, March 2025 GMT
পঞ্চগড় সদর উপজেলার আহছানিয়া মিশন শিশু নগরীর ১৬০ অনাথ শিশুদের সাথে স্বাধীনতা দিবসে স্বপরিবারে ইফতার করেছেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী।
তার সহযোগিতায় এই প্রথমবারের মতো দারুণ সব আয়োজনে ইফতারের সাক্ষী হলো অনাথ শিশুরা। পোলাও, খাসির মাংস, মুরগির রোস্ট, ডিম, ডাল, বেগুনি, পিয়াজু, জুসসহ নানা খাবারের আয়োজন করা হয় শিশুদের জন্য।
এ সময় জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী শাকিলা পারভিন শিশুদের জন্য চকলেটসহ নানা উপহার তুলে দেন। জেলা প্রশাসকের সাথে একসাথে ইফতার করার সুযোগ পেয়ে দারুন খুশি শিশু নগরীর শিক্ষার্থীরা।
ইফতারে উপস্থিত জেলা প্রশাসকের পরিবারের সদস্যরা
এ আয়োজনে অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, আহছানিয়া মিশন শিশু নগরীর কর্মকর্তা দীপক কুমারসহ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই শিশু নগরীর শিক্ষার্থী সুজন ইসলাম বলেন, “আজকের দিনটি আমাদের স্মরণীয় হয়ে থাকবে। জেলা প্রশাসক তার পরিবারসহ আমাদের সাথে বসে ইফতার করেছেন। আমাদের জন্য অনেক ভালো ভালো খাবারের আয়োজন করেছেন। আমরা ভীষণ খুশি। স্যারের কথা আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।”
আহছানিয়া মিশন শিশু নগরীর কর্মকর্তা দীপক কুমার বলেন, “আজকের ইফতারটি আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিশুদের জন্য সারপ্রাইজ ছিল। সবাই দারুন উপভোগ করেছে। আমরা চাই সবাই এভাবেই অনাথ পরিচয়হীন শিশুদের পাশে দাঁড়াবে। তাদের ভালোবাসবে।”
জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, “আমি ছোট বেলাতেই আমার মাকে হারিয়েছি। তাই বাবা-মা না থাকলে কি কষ্ট হয় আমি তা জানি। আমরা এই শিশুদের সাথে ইফতার করায় তারা খুব উৎসাহিত হয়েছে। তাদের সাথে বসে ইফতার করা এবং তাদেরকে তৃপ্তি সহকারে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পেরে আমিও দারুণ প্রশান্তি অনুভব করছি।”
ঢাকা/নাঈম/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত দ র জন য পর ব র আম দ র নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক