পঞ্চগড় সদর উপজেলার আহছানিয়া মিশন শিশু নগরীর ১৬০ অনাথ শিশুদের সাথে স্বাধীনতা দিবসে স্বপরিবারে ইফতার করেছেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী। 

তার সহযোগিতায় এই প্রথমবারের মতো দারুণ সব আয়োজনে ইফতারের সাক্ষী হলো অনাথ শিশুরা। পোলাও, খাসির মাংস, মুরগির রোস্ট, ডিম, ডাল, বেগুনি, পিয়াজু, জুসসহ নানা খাবারের আয়োজন করা হয় শিশুদের জন্য। 

এ সময় জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী শাকিলা পারভিন শিশুদের জন্য চকলেটসহ নানা উপহার তুলে দেন। জেলা প্রশাসকের সাথে একসাথে ইফতার করার সুযোগ পেয়ে দারুন খুশি শিশু নগরীর শিক্ষার্থীরা। 

ইফতারে উপস্থিত জেলা প্রশাসকের পরিবারের সদস্যরা
 

এ আয়োজনে অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, আহছানিয়া মিশন শিশু নগরীর কর্মকর্তা দীপক কুমারসহ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন। 

ওই শিশু নগরীর শিক্ষার্থী সুজন ইসলাম বলেন, “আজকের দিনটি আমাদের স্মরণীয় হয়ে থাকবে। জেলা প্রশাসক তার পরিবারসহ আমাদের সাথে বসে ইফতার করেছেন। আমাদের জন্য অনেক ভালো ভালো খাবারের আয়োজন করেছেন। আমরা ভীষণ খুশি। স্যারের কথা আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।” 

আহছানিয়া মিশন শিশু নগরীর কর্মকর্তা দীপক কুমার বলেন, “আজকের ইফতারটি আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিশুদের জন্য সারপ্রাইজ ছিল। সবাই দারুন উপভোগ করেছে। আমরা চাই সবাই এভাবেই অনাথ পরিচয়হীন শিশুদের পাশে দাঁড়াবে। তাদের ভালোবাসবে।”  

জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, “আমি ছোট বেলাতেই আমার মাকে হারিয়েছি। তাই বাবা-মা না থাকলে কি কষ্ট হয় আমি তা জানি। আমরা এই শিশুদের সাথে ইফতার করায় তারা খুব উৎসাহিত হয়েছে। তাদের সাথে বসে ইফতার করা এবং তাদেরকে তৃপ্তি সহকারে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পেরে আমিও দারুণ প্রশান্তি অনুভব করছি।” 

ঢাকা/নাঈম/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত দ র জন য পর ব র আম দ র নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ