পবিত্র রমজান মাস ও তার শেষ দশকের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো কদরের রাত। হাদিসের ভাষ্য অনুসারে রমজানের শেষ দশকের যে কোনো বেজোড় রাতই কদরের রাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদিও বহু সংখ্যক আলেম ২৭ রমজানের রাতকে কদরের রাত বলে অভিমত দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনের ভাষায় কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। মহান আল্লাহ কদরের রাতকে ‘বরকতময়’ বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এটা অবতীর্ণ করেছি এক মোবারক রাতে। আমি সতর্ককারী। এই রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।’ (সুরা দুখান, আয়াত : ৩-৪)

আল্লাহ ‘কদর’ নামে একটি পূর্ণ সুরা অবতীর্ণ করেছেন। যাতে তিনি এই রাতের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি মহিমান্বিত রাতে। আর মহিমান্বিত রাত সম্পর্কে তুমি কি জানো? মহিমান্বিত রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশরা ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, সেই রাত ঊষার আবির্ভাব পর্যন্ত।’ (সুরা কদর, আয়াত : ১-৫)

আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়, কদরের এক রাতের ইবাদত কম-বেশি প্রায় ৮৩ বছর ইবাদত করার সমান। তাই মহিমান্বিত এই রাতের অনুসন্ধান করা আবশ্যক। সুরা দুখানের আয়াত থেকে ইঙ্গিত মেলে কদরের রাতে আল্লাহ ফেরেশতাদের কাছে পুরো বছরের ভাগ্যলিপি হস্তান্তর করেন। সুতরাং অনাগত দিনগুলো যেন সুন্দর হয় কদরের রাতে সেটাও করা প্রয়োজন। একাধিক হাদিসে মহানবী (সা.

) কদরের রাতে ইবাদত-বন্দেগি, জিকির ও দোয়া করতে উৎসাহিত করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সাওয়াবের আশায় কদরের রাতে জাগ্রত থাকবে (ইবাদত করবে) তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করা হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৭৬৮)

আরো পড়ুন:

ঈদের কেনাকাটায়ও আসুক সংযম

মাহে রমজানে আল্লাহ প্রেমের সাধনা

আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এই যে মাস (রমজান) তোমরা লাভ করেছ তাতে এমন একটি রাত আছে যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। যে ব্যক্তি তার কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো সে যাবতীয় কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো। আর হতভাগ্য ব্যক্তিই কেবল তার কল্যাণ ও বরকত থেকে বঞ্চিত হয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৩৪)

উল্লিখিত হাদিসদ্বয়ে কদরের রাতে ইবাদত, তিলাওয়াত, জিকির ও দোয়া করার অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। তবে কদরের রাতকে ২৭ রমজানে যেভাবে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে তা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আমল ও নির্দেশনার পরিপন্থী। রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন এবং পুরো দশকজুড়ে কদরের রাত অনুসন্ধান করতেন। উম্মতকেও তিনি রমজানের শেষ দশকে কদরের রাত অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন এবং তিনি বলতেন, ‘তোমরা শেষ দশকে কদরের রাত অনুসন্ধান করো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০২০)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে কদরের রাত অনুসন্ধান করো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০১৭)

কদরের রাত কেমন হবে তার একটি ইঙ্গিতও হাদিসে রয়েছে। তা হলো মেঘ ও বৃষ্টি থাকা। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) রমজান মাসের মাঝের দশকে ইতিকাফ করেন। ২০ তারিখ অতীত হওয়ার সন্ধ্যায় এবং ২১ তারিখের শুরুতে তিনি ও তাঁর সঙ্গে যাঁরা ইতিকাফ করেছিলেন সবাই নিজ নিজ বাড়ি ফিরে গেলেন। সে রাতে তিনি ভাষণ দেন। তাতে বহু নির্দেশ দান করেন। অতঃপর বলেন যে, আমি এই দশকে ইতিকাফ করেছিলাম। এরপর আমি সিদ্ধান্ত করেছি যে, শেষ দশকে ইতিকাফ করব। যে আমার সঙ্গে ইতিকাফ করেছিল সে যেন তার ইতিকাফস্থলে থেকে যায়। আমাকে সে রাত দেখান হয়েছিল, পরে তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তোমরা শেষ দশকে ঐ রাতের তালাশ করো এবং প্রত্যেক বেজোড় রাতে তা তালাশ করো। আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, সে রাতে আমি কাদা-পানিতে সিজদা করছি। সে রাতে আকাশে প্রচুর মেঘের সঞ্চার হয় এবং বৃষ্টি হয়। মসজিদে আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর নামাজের স্থানেও বৃষ্টির পানি পড়তে থাকে। এটা ছিল ২১ তারিখের রাত। যখন তিনি ফজরের নামাজ শেষে ফিরে বসেন তখন আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখতে পাই যে, তাঁর মুখমণ্ডল কাদা-পানি মাখা। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০১৮)

কদরের রাতের বিশেষ ইবাদত হলো নামাজ আদায় করা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। আম্মাজান আয়েশা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি জানতে পারি লায়লাতুল কদর কোনটি তাহলে আমি সে রাতে কি বলব? তিনি বলেন, তুমি বলো, আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউয়ুন কারিমুন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা'ফু আন্নি। অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল দয়ালু, আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১৩)

বুজুর্গ আলেমরা বলেন, মহিমান্বিত এই রাতে আল্লাহর ক্ষমা ও দয়া সে ব্যক্তিই লাভ করবে, পরিচ্ছন্ন দেহ ও মন নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হবে। আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলি বলেন, ‘‘উত্তম হলো যে রাতে ‘কদর’ অনুসন্ধান করা হবে তাতে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, গোসল-সুগন্ধি-উত্তম কাপড়েরর মাধ্যমে সৌন্দর্য বর্ধন করা। আর বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য যথষ্টে নয়, যদি না মানুষের ভেতরটা সুন্দর হয়। মানুষের ভেতর সুন্দর হয় তাওবা ও আল্লাহমুখী হওয়ার মাধ্যমে।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা ১৮৯)

যেহেতু কদরের রাত কবে হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ ঘোষিত হয়নি, তাই মুমিনের উচিত রমজানের শেষ দশকের প্রত্যেক বেজোর রাতে কদর অনুসন্ধান করা। ঠিক যেমনটি মহানবী (সা.) বলেছেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০১৭)

হে আল্লাহ! আপনি আমাদের কদরের রাতের যাবতীয় কল্যাণ দান করুন। আমিন।

লেখক : মুহাদ্দিস, সাঈদিয়া উম্মেহানী মহিলা মাদরাসা, ভাটারা, ঢাকা।
 

শাহেদ//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স য় ম স ধন রমজ ন রমজ ন র শ ষ দশক র সহ হ ব খ র অবত র ণ কল য ণ এই র ত স ন দর আল ল হ বল ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পকে ইউক্রেনের পাশে থাকার আহ্বান রাজা চার্লসের

বিশ্বের সবচেয়ে জটিল কিছু সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। একই সঙ্গে তিনি ‘স্বৈরাচারের (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন’ দেওয়ার জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান। খবর বিবিসির।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের প্রথম দিনে উইন্ডসর ক্যাসলে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে দেওয়া বক্তৃতায় এ কথা বলেন রাজা।

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত

সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প

জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেন, এ সম্পর্ককে ‘বিশেষ’ শব্দ দিয়ে যথাযথভাবে বোঝানো যায় না।

উইন্ডসর ক্যাসলে ১৬০ জন অতিথির জন্য আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ এই নৈশভোজে রাজার বক্তৃতায় দুই দেশের গভীর বন্ধন এবং সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্ক ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়।

ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় এ সফর চলবে আজ বৃহস্পতিবারও। এদিন নানা অনুষ্ঠানে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে অংশ নেবেন ব্রিটিশ রানি ক্যামিলা ও প্রিন্সেস অব ওয়েলস।

রাজকীয় অ্যাপায়ন শেষে ট্রাম্পের আজকের কর্মসূচি রাজনৈতিক আলোচনায় রূপ নেবে। আজ বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে তার সরকারি বাড়ি চেকার্সে বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনও হবে। 

বুধবারের (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় ভোজ ছিল আড়ম্বর ও রাজনীতির সমন্বয়ে সাজানো এক বিশেষ আয়োজন। ভোজে রাজা, রানি ও রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের উপস্থিতিতে ট্রাম্পকে স্বাগত জানানো হয় উইন্ডসরে।

উইন্ডসর ক্যাসলের মনোরম প্রাঙ্গণে পৌঁছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মেলানিয়া রাজকীয় ঘোড়ার গাড়ি থেকে নামেন। সেখানে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো সেনাদলের অভিবাদন গ্রহণ করেন তারা। 

যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের মতে, বিদেশি কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে স্বাগত জানানোর জন্য দেশটিতে আয়োজিত স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সামরিক সংবর্ধনা ছিল এটি।

যুক্তরাষ্ট্রের অতিথিকে স্বাগত জানাতে প্রিন্স ও প্রিন্সেস অব ওয়েলসও উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রেসিডেন্ট ও মেলানিয়ার সঙ্গে উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ এক বৈঠকও করেন।

ভোজসভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রিন্স উইলিয়ামের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে তিনি হবেন ‘অসাধারণ সফল নেতা’। প্রিন্সেস অব ওয়েলস ক্যাথরিনকে তিনি আখ্যা দেন ‘উজ্জ্বল, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও সুন্দরী’ হিসেবে।

ট্রাম্পের ঐতিহাসিক এ দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফর প্রমাণ করেছে রাজা ও তাঁর মধ্যে সম্পর্ক বেশ ভালো। সফরে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মুহূর্তও দেখা গেছে।

এরপর রাজপ্রাসাদে ট্রাম্প দম্পতিকে স্বাগত জানান রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা। ট্রাম্প যখন রাজার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন, তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ের ছয়টি কামান থেকে একযোগে ৪১ বার তোপধ্বনি করা হয়। একই সময়ে টাওয়ার অব লন্ডন থেকে একই রকম তোপধ্বনি হয়।

ট্রাম্প দম্পতিকে স্বাগত জানানোর এ আয়োজনে অংশ নেন ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর ১ হাজার ৩০০ সদস্য। ছিল শতাধিক ঘোড়া।

যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের মতে, বিদেশি কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে স্বাগত জানানোর জন্য দেশটিতে আয়োজিত স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সামরিক সংবর্ধনা ছিল এটি।

বিবিসি বলছে, রাজকীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা থাকবে।

যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফর হলো একধরনের নরম শক্তির কূটনীতি, যা গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য রাজকীয় আকর্ষণ ব্যবহার করে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কেউ নেই।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর্থিক সেবা, প্রযুক্তি এবং জ্বালানি খাতে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় গড়ে তুলে যুক্তরাজ্যকে আমেরিকান বিনিয়োগের প্রধান গন্তব্য হিসেবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করছেন। এর মাধ্যমে তিনি নিজ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে চাইছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর শুরু হওয়ার সাথে সাথে, মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্যে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের একটি বড় প্রযুক্তি চুক্তি ঘোষণা করা হয়েছে। যার মধ্যে মাইক্রোসফট থেকে ২২ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং পারমাণবিক শক্তিতে সহযোগিতা দেখা যাবে। 

ট্রাম্পের সফরের আগে গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট যুক্তরাজ্যের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণায় ৫ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ট্রাম্প-স্টারমারের বৈঠক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক চুক্তির ঘোষণাও আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ