জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় স্নাতকোত্তর হতে চান, ফরম জমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত
Published: 27th, March 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে সামার সেমিস্টার-২০২৫–এ এক বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কোর্সটি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অধ্যয়ন—এই তিন শাখার পড়াশোনার সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশে এটাই প্রথম উচ্চতর স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম।
* আবেদনের যোগ্যতা
১. যেকোনো বিষয়ে স্নাতক সম্মান/ স্নাতকোত্তর (পাস কোর্স)।
* কোর্স যা শেখানো হবে
১.
২. বাংলা বাচন ও বাংলা লেখার কৌশল
৩. সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমে প্রকাশ উপযোগী লেখা
৪. দাপ্তরিক পরিসরে শুদ্ধ বাংলার ব্যবহার পদ্ধতি লেখা
৫. ভাষাবিজ্ঞান ও সংস্কৃতি অধ্যয়ন
৬. গবেষণা রীতি ও পদ্ধতি
৭. বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে শিক্ষাদান পদ্ধতি
আরও পড়ুনচীনে আইইএলটিএস ছাড়াই স্কলারশিপে মাস্টার্স-পিএইচডির সুযোগ৭ ঘণ্টা আগে* কোর্সের বিশেষত্ব জেনে নিন
১. দক্ষ গবেষক ও শিক্ষকবৃন্দের তত্ত্বাবধানে কোর্স
২. ক্লাস হবে শুক্র ও শনিবার
৩. প্রযুক্তির সুবিধাসম্পন্ন শ্রেণিকক্ষ
৪. বিরল ও বিপুল বইসংবলিত গ্রন্থাগার
৫. গবেষণা-সহায়ক কর্মপরিবেশ
৬. ব্যবহারিক কাজের মাধ্যমে শেখার সুযোগ
৭. রয়েছে অংশগ্রহণমূলক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিবেশ
আরও পড়ুনবুয়েটে ক্লাস শুরু ১২ এপ্রিল, প্রথম বর্ষে হলে উঠতে সর্বোচ্চ ফি ২৭৮৫০ টাকা২ ঘণ্টা আগে* কোর্সের ভর্তির তারিখ
১. ফরম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫
২. ভর্তি পরীক্ষার তারিখ: ২ মে ২০২৫
৩. পরিচিতিমূলক ক্লাস হবে: ৯ মে ২০২৫
৪. ক্লাস হবে প্রতি শুক্র ও শনিবার
* বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট: https://wmbangla.juniv.edu, https://juniv.edu/department/bangla
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই ডকুমেন্টরিতে ‘ফুটেজ’ না থাকায় জাবি ছাত্রদল নেতার হট্টগোল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে নির্মিত দেশের প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য ২৪’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রচারিত ডকুমেন্টরিতে ফুটেজ না থাকায় এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে হট্টগোল করা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের (২০০৯-১০ সেশন) সাবেক শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ফজিলাতুন্নেসা হলের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডকুমেন্টরি প্রদর্শন শেষে এ হট্টগোল করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
জুলাই শহীদ পরিবারদের সংবর্ধনা দিল জাবি
জুলাই শহীদদের স্মরণে জাবি ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
ডকুমেন্টরি প্রদর্শন শেষে ওই ছাত্রদল নেতা উত্তেজিত কণ্ঠে বলতে থাকেন, “এই ডকুমেন্টরিতে ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। ডকুমেন্টরিতে ছাত্রদলের অবদানকে অস্বীকার করা হয়েছে। আমরাও আন্দোলন মাঠে ছিলাম, জেল-জুলুম, মামলা আমরাও খেয়েছি।”
এ সময় তার সঙ্গে শাখা ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক রোমান রাশিদুল ও হাসান শাহরিয়ার রমিমকেও হট্টগোল করতে দেখা যায়।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, ডকুমেন্টরি নির্মাণের জন্য তাদের দুইদিন সময় দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে একটি মাত্র ক্যামেরা দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ জনের ইন্টারভিউ নেওয়া খুবই কষ্টসাধ্য কাজ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট ও সময় না পাওয়ায় তাদের পূর্ণাঙ্গ ডকুমেন্টরি নির্মাণ কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
তবে এ ঘটনার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের এক প্রভাবশালী শিক্ষকের হাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষক।
তারা জানান, ডকুমেন্টরি নির্মাণের পূর্বে তারা জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ছবি ও ভিডিও ফুটেজ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সব পাবলিক ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেছিলেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের পাঠানো ও সাংবাদিকদের থেকে সংগৃহীত ছবি ও ফুটেজ দিয়ে ডকুমেন্টরি নির্মাণ করা হয়েছে। যে ব্যক্তি দাবি করেছেন তার ছবি বা ফুটেজ দেয়া হয়নি, তার ছবি বা ফুটেজ তাদের কাছে কেউ দেয়নি। এজন্য তারা ডকুমেন্টরিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি?
এ নিয়ে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “আজ যে একটা বিশেষ পরিস্থিতি দেখেছি, এটাও জাহাঙ্গীরনগরের বৈশিষ্ট্য, এটাও ২৪ এর অর্জন। খারাপভাবে দেখার প্রয়োজন নেই। প্রত্যেকটি কাজের মধ্যে ভুল থাকতে পারে, এখানে শিক্ষার বিষয় রয়েছে। ঠিক একইসঙ্গে প্রতিবাদের যে ভাষা, সেখানেও শিক্ষিত হবার প্রয়োজন রয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সমালোচনা ও কুৎসার পার্থক্য শিখবে। একইসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশংসা ও পূজার পার্থক্য শিখবে ও বুঝবে।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী