২৬ দিনে রেমিট্যান্স ৩শ’ কোটি ডলারের কাছাকাছি
Published: 27th, March 2025 GMT
এবার ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। মাস শেষ হওয়ার আগেই প্রায় ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী চলতি মার্চ মাসের ২৬ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩৩ কোটি ডলার বা ৮২ শতাংশ বেশি। গত বছর মার্চ মাসের ২৬ দিনে ১৬১ কোটি ৪০ লাখ ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল।
দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬৪ কোটি ডলারের রেকর্ড ছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। চলতি মাসে প্রায় ৩৫০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে মাসের হিসাবে অনেক বড় ব্যবধানে নতুন রেকর্ড হতে যাচ্ছে। হুন্ডি কমে যাওয়া এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধি সার্বিকভাবে রেমিট্যান্স বাড়ার কারণ বলে ব্যাংকাররা জানিয়েছেন। বর্তমানে প্রতি ডলারে একজন রেমিট্যান্স গ্রহীতা ১২১ থেকে ১২২ টাকা পাচ্ছেন। এর সঙ্গে আড়াই শতাংশ সরকারি প্রণোদনা রয়েছে। ফলে এক ডলারে ১২৫ টাকার মতো পাওয়া যাচ্ছে। মানি এক্সচেঞ্জ বা খোলাবাজারের রেট এর চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে কম।
এদিকে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৪৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে যা ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। ওই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৬৬৯ কোটি ২০ লাখ ডলার।
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান সমকালকে বলেন, অর্থপাচার প্রতিরোধে বর্তমান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আবার ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠিয়ে প্রণোদনাসহ এখন যে পরিমাণ টাকা পাওয়া যাচ্ছে, তা খোলাবাজারের চেয়েও বেশি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।
সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।
এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা