লক্ষ্মীপুর নার্সের ভুল ইনজেকশন পুশের কারণে রেহানা বেগম (৪৫) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা শহরের আধুনিক হাসপাতালে (প্রাঃ) এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত নার্সের নাম ফারজানা আক্তার। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহত রেহানা সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী।

নিহতের বড় মেয়ে শাবনুর আক্তার বলেন, মঙ্গলবার বুকে ব্যথা উঠলে নোভা মেডিকেলে চিকিৎসক মাহবুবুর রহমানকে দেখানো হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে আধুনিকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক মাহবুবের তত্ত্বাবধানেই তার চিকিৎসা চলছিল। ব্যথা উঠলে ক্যানালাতে ইনজেকশন পুশ করলে কমে যায়। পরে মা স্বাভাবিক থাকতেন। ঘটনার আগে মায়ের ব্যথা উঠে। এজন্য আমি ছোট বোনকে বলি নার্সকে ডেকে আনার জন্য। ডাকতে গেলে নার্স আমার বোনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। উনি মোবাইল চালাচ্ছিলেন, এছাড়া অন্য একজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। পরে তিনি এসে ক্যানালাতে ইনজেকশন না দিয়ে বাহুতে দেয়। আমি তখন বাথরুমে ছিলাম। আমার মা চিৎকার দিয়ে উঠে। আমি দ্রুত বের হয়ে এসে জিজ্ঞেস করি কে ইনজেকশন দিছে তাকে ডেকে আনেন। নার্স এসে আমাকে ধমক দেয়। নার্স বলে ইনজেকশন দিতেছি মহিলা এখন ঘুম যাচ্ছে। কি ইনজেকশন দিয়েছে আমার মা জনমের ঘুম ঘুমাই গেছে? চোখ বড় করে চটপট করতে করতে আমার মা মারা গেছে। তবে এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কেউই কোন কথা বলতে রাজি হননি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মোনাফ বলেন, রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ শুনেছি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: লক ষ ম প র ইনজ কশন

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড়ে বিবাহবিচ্ছেদের চার দিনের মাথায় লাউখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার

পঞ্চগড়ে স্বামীর মৃত্যুর দুই বছর পর সন্তানদের রেখে গোপনে বিয়ে করে ঘর ছেড়েছিলেন এক নারী। দ্বিতীয় বিয়ের প্রায় এক মাস পর বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। এ ঘটনার চার দিনের মাথায় বাড়ির পাশের লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের ধামোর মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর নাম তানজিনা আক্তার (৩৫)। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তানজিনার দ্বিতীয় স্বামী মিনাল হোসেনের বাবা দিলু হোসেনকে (৫৫) হেফাজতে নিয়েছে আটোয়ারী থানার পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, তানজিনা আক্তারের প্রথম স্বামী মজিবর রহমান প্রায় দুই বছর আগে মারা যান। তাঁদের দুটি ছেলে আছে। এর মধ্যে প্রায় এক মাস আগে স্থানীয় যুবক মিনাল হোসেনকে (২৭) গোপনে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। এর পর থেকেই মিনালকে ছেড়ে দিতে তানজিনার ওপর চাপ দিতে থাকে মিনালের পরিবার। গত ৩০ অক্টোবর তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকেই মিনালকে এলাকায় দেখা যায়নি।

পুলিশ জানায়, আজ সকালে ধামোর-মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেতে কয়েকজন লাউ তুলতে গিয়ে এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান। এ সময় স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশটি তানজিনার বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে বারঘাটি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও আটোয়ারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সরকার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ