মেয়র পদের ঘোষণা নিয়ে সমালোচনার জবাব দিলেন ইশরাক
Published: 28th, March 2025 GMT
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র পদ ঘোষণা ঘিরে নানা মহলের সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ইশরাক হোসেন। বলেছেন, ভোটে তিনি হারেননি তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পরই আইন মেনে তিনি মামলা করেছিলেন। সেই মামলা তখন ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ ৫ বছর আইনি লড়াইয়ের পর তিনি এখন ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইশরাক হোসেন এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশা ভ্যান ও অটো চালকদের মাঝে ঈদ উপহার দিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটি।
২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফল বাতিল করে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গতকাল রায় দিয়েছেন আদালত। ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.
ইশরাক হোসেনের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রার্থী ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা করা হয়, ইভিএম মেশিনে ভোট জালিয়াতি করা হয়, নির্বাচনে ভোটারদের ভোটগ্রহণে বাধা দেওয়া হয়, নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি করা হয়। এতসব জালিয়াতির পরেও নির্বাচন কমিশন শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র ঘোষণা করে। নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালের ৩ মার্চ ইশরাক হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালত পূর্ণাঙ্গ শুনানি নিয়ে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করেছেন।
আজকের অনুষ্ঠানে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর আইনি লড়াইয়ের পর গতকাল রায় পেয়েছি। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছি। তবে এই রায় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় কেউ কেউ বোঝার কমতি থাকার কারণে যে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন তাদের জানার ক্ষেত্রে কিছু তথ্যের ঘাটতি রয়েছে।’
পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অনেকেই হয়তো মনে করছে যে ৫ আগস্ট ২০২৪ এ পর এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বা আমরা হয়তো এরপরে এসে (২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর) এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ করতে হয় এবং সেই ৩০ দিনের মধ্যেই মামলাটি করা হয়েছিল। পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে এই মামলাটি নিষ্পত্তি হওয়ার আইনি বিধান থাকলেও বিগত ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের আমলে এটিকে বাধাগ্রস্ত করা হয়। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী তাপস এই মামলা বাতিল করার জন্য উচ্চ আদালতে এবং নিম্ন আদালতে চাপ প্রয়োগ করেছেন। উচ্চ আদালতে আবেদন করে মামলার শুনানি বন্ধ করে রেখেছিলেন।’
পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ওই মামলার শুনানি করে এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করেই মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন জানিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এই মামলায় সাক্ষী শুনানি হয়েছে, যুক্তিতর্ক হয়েছে এবং পরবর্তীতে গতকাল কাঙ্ক্ষিত রায় দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশা ভ্যান ও অটো চালকদের মাঝে ঈদ উপহার দেওয়ার আয়োজন করা হয়উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইশর ক হ স ন ২০২০ স ল ব এনপ র পরবর ত অন ষ ঠ র আইন
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী নির্বাচনে ইসি প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতি চালু করতে চায়: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আগামী নির্বাচনে ছোট পরিসরে হলেও প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের জন্য ভোট দেওয়ার পদ্ধতি চালু করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আয়োজিত এক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আজ মঙ্গলবার এ কথা বলেন সিইসি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে সেমিনারটি আয়োজন করা হয়।
বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, তাঁদের প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সেমিনারে অংশ নেন।
এ সময় সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতি বাছাইয়ের জন্য রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের সমর্থন চান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন না পেলে ইসির সব উদ্যোগ বিফলে যাবে।
আরও পড়ুনআওতার মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় সংস্কার ইসি নিজেই করবে: সিইসি২৪ এপ্রিল ২০২৫প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগ প্রসঙ্গে সূচনা বক্তব্যে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পরবর্তী নির্বাচনে অন্তত শুরু করতে চাই। যাত্রা শুরু হোক। অনেক দেশ চালু করেছে, অনেক দেশ চালু করতে পারেনি। আমরা সীমিত পরিসরে চালু করতে চাই। এ জন্য আপনাদের সমর্থন চাই। আশা করি, সমর্থন পাব।’
এ এম এম নাসির উদ্দিন জানান, বিশিষ্ট নাগরিকদের মাধ্যমে ইসির কাজ জাতিকে অবহিত করা হবে। তিনি অংশগ্রহণকারীদের প্রতি এই সেমিনারে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি পরবর্তী সময় লিখিতভাবে মতামত দেওয়ার আহ্বান জানান।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে সেমিনারের আয়োজন করা হয়