আইপিএল-২০২৫ এর মেগা নিলামে অবিক্রিত ছিলেন ভারতীয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুর। মেন্টর জহির খানের ইচ্ছাতেই তাকে ওয়াইল্ড কার্ডে দলে টানে লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ন্টস। বাদ পড়া থেকে দলে সুযোগ পেয়ে প্রথম দুই ম্যাচেই করলেন অসাধারণ বোলিং। আইপিলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির পার্পল ক্যাপ ইতিমধ্যেই নিজের করে নিয়েছেন শার্দুল। তাকে নিয়ে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে প্রশংসার বন্যা।
শার্দুল সর্বশেষ চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে। ৩৪ রান খরচ করে নিয়েছেন উইকেট। হয়েছিলেন ম্যাচসেরাও। পুরস্কার নিতে এসে শার্দুল বলেন, ‘‘আমি আমার পরিকল্পনা তৈরি করেছিলাম। আইপিএলে সুযোগ না পেলে ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলারও পরিকল্পনা ছিল। রঞ্জি ট্রফি খেলার সময় জহির খান আমাকে ফোন করেছিলেন এবং তিনি আমাকে বলেছিলেন যে সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে তোমাকে ডাকা হতে পারে, তাই নিজেকে একদম ছিটকে যাওয়া মনে করো না। যদি বিকল্প হিসেবে ডাকা হয়, তাহলে তোমার খেলার সম্ভাবনা আছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘অতীতে যা দেখেছি, হেড ও অভিষেক ঝুঁকি নিতে ভালোবাসে। তাই আমিও ভেবেছি আমিও ঝুঁকি নেব। নতুন বল এমন একটা জিনিস যেখানে সুইং থাকলে উইকেট নেওয়া যায় এবং আজ রাতে আমি সেই সুযোগগুলো নিয়েছি।’’
আরো পড়ুন:
‘পৃথিবীর সেরা চিকিৎসা পেয়েছেন তামিম’
জিম্বাবুয়ের দুর্দান্ত ক্রিকেট মৌসুম: সফরে আসছে দ.
ঢাকা/নাভিদ/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।