লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন খালেদা জিয়া
Published: 28th, March 2025 GMT
এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন খালেদা জিয়া। সেখানে সপরিবারে রয়েছেন তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আছেন ছোটে চেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী-সন্তান। সবাইকে নিয়ে সেখানে ঈদ উযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়েরুল কবির খান শুক্রবার গণমাধ্যমকে এই তথ্য দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
দুবাইয়ে বিএনপির ইফতার: ‘নির্বাচনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র ফিরবে’
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা, যা বলছে ইসি
দলটির মিডিয়া সেলের তথ্য অনুযায়ী, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের কেউ কেউ ঢাকায়, কেউ কেউ নিজ এলাকায় ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় ঈদ করবেন। ঈদের দিন প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে শুভেচ্ছা জানাতে যাবেন তিনি।
এর আগে ঈদের দিন সকালে তিনি দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের তথ্য অনুযায়ী, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.
বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতারা নিজ নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারিতে লন্ডনে যান। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধূ, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও তিন নাতনির সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন তিনি।
২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তখন তিনি তিন মাস তারেক রহমানের বাসায় ছিলেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছিলেন। এরপর দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করা হয়নি তার।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারি মাসে লন্ডনে যান বেগম খালেদা জিয়া। ৮ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি লন্ডনের দ্য ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
বাসায় ফেরার পর গত দুই মাসে খালেদা জিয়াকে আর হাসপাতালে নিতে হয়নি। কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন হলে দ্য ক্লিনিকের চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বাসায় গিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, বেগম খালেদা জিয়া দ্য ক্লিনিকের অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও জেনিফার ক্রসের অধীনে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল টিমের সদস্যরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আরো বলেন, তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল টিমের পরামর্শে ঈদের পর তিনি এপ্রিলের যেকোনো দিন দেশে ফিরতে পারেন। তবে পুরো বিষয়টি মেডিকেল টিমের অনুমতির ওপর নির্ভর করছে। তারেক রহমানও শিগগিরই দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র ক রহম ন ঈদ ত র ক রহম ন পর ব র র র সদস য ব এনপ র ক য় ঈদ
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।