পাওয়ার গ্রিডে চাকরি, মূল বেতন ১ লাখ ২০ হাজার, আছে সার্বক্ষণিক গাড়ি
Published: 29th, March 2025 GMT
সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানে জেনারেল ম্যানেজার (পারসোনাল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) পদে একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের সরাসরি, ডাকযোগে বা কুরিয়ারের মাধ্যমে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।
পদের নাম: জেনারেল ম্যানেজার (পারসোনাল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন/এইচআরএম/ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা এইচআরএম বিষয়ে এমবিএ ডিগ্রি থাকতে হবে অথবা যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ এইচআরএমে ছয় মাস মেয়াদি পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ/সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়। গ্রেডিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে সিজিপিএ-৫-এর স্কেলে অন্তত ৩.
বয়স: ২৪ মার্চ ২০২৫ তারিখে সর্বোচ্চ ৫৭ বছর।
চাকরির ধরন: সর্বোচ্চ ৫ বছরের চুক্তিভিত্তিক, ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চুক্তি নবায়নযোগ্য।
বেতন: মাসিক মূল বেতন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
সুযোগ-সুবিধা: মূল বেতনের ৬০ শতাংশ বাসাভাড়া, বছরে দুটি উৎসব বোনাস, বৈশাখী ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গোষ্ঠী বিমা, ছুটি ভাতা, গ্র্যাচুইটি, মেডিকেল-সুবিধা, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধিসহ সার্বক্ষণিক গাড়ির সুবিধা আছে।
আরও পড়ুননেসকোতে চাকরি, গাড়ির সঙ্গে বেতন ১ লাখ ৭৫ হাজার২৭ মার্চ ২০২৫আবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের পাসপোর্ট সাইজের ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সব সনদের সত্যায়িত কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র, নাগরিকত্ব সনদসহ পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত সরাসরি, ডাকযোগে বা কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।
চীনে আইইএলটিএস ছাড়াই স্কলারশিপে মাস্টার্স-পিএইচডির সুযোগআবেদন ফিপাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির অনুকূলে ২০০ টাকা পে-অর্ডার করে রসিদ আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (এইচআরএম), পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি, গ্রিড ভবন, অ্যাভিনিউ-৩, জহুরুল ইসলাম সিটি, আফতাবনগর, বাড্ডা, ঢাকা-১২১২।
আবেদনের শেষ সময়: ২৩ এপ্রিল ২০২৫।
আরও পড়ুনপল্লী উন্নয়ন বোর্ডে নবম ও দশম গ্রেডে নিয়োগ, পদ ৯০২৬ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমতি ছাড়াই গাসিক কর্মকর্তা কিবরিয়ার বিদেশ যাত্রা
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি বিধি লঙ্ঘন, তথ্য গোপন, অনুমতি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ ও বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর গত ১৫ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিক শাহেদ আলম নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গোলাম কিবরিয়া সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তথ্য গোপন করে বেসরকারি পাসপোর্ট (নং A০১২৬৬৬১২) সংগ্রহ করেছেন, যা সরকারি চাকরি বিধিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন। ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করে তিনি একাধিকবার কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ করেছেন।
অভিযোগকারী দাবি করেন, তিনি ২০২৪ ও ২০২৫ সালের বিভিন্ন সময়ে কানাডা সফর করেছেন, যার কোনো অনুমোদন তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নেননি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সর্বশেষ ২০২৫ সালের ১৯ জুন কানাডা সফরের সময় তিনি প্রায় ৫০ হাজার মার্কিন ডলার সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন।
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, গোলাম কিবরিয়া নিয়মিত বিদেশ ভ্রমণের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করে কানাডায় সেকেন্ড হোম এবং ব্যবসায়িক বিনিয়োগ করেছেন। তার নামে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা পাচারের দুর্নীতির মামলাও চলমান রয়েছে। এমন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি এখনো পদে বহাল থেকে প্রভাব খাটাচ্ছেন এবং যেকোনো সময় বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অভিযোগকারী বলেন, “তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নিয়মিত বিদেশে যাচ্ছেন, যা সরকারি চাকরি বিধিমালার সরাসরি লঙ্ঘন এবং গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
সূত্র জানায়, গোলাম কিবরিয়া গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের একজন বিতর্কিত কর্মকর্তা। তার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। তিনি দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে কানাডায় স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করছেন। গাজীপুরবাসীর স্বার্থে এমন বেপরোয়া ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মুহাম্মদ সোহেল হাসান বলেন, “লিখিত অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে যাচাই করা হয়েছে। প্রশাসক মহোদয় বিষয়টি নিয়ে অবগত আছেন। তথ্য গোপন করে বিদেশ যাত্রা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, প্রমাণ মিললে বিভাগীয় তদন্তে পাঠানো হবে।”
এ বিষয়ে জানতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে শোকজ করা হয়েছিল এবং তিনি জবাবও দিয়েছেন। শোকজের প্রতিবেদনটি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।”
এ বিষয়ে গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/রেজাউল/এস