দক্ষিণের পথে পদ্মা সেতু এলাকায় গাড়ির চাপ, তবে ভোগান্তি নেই
Published: 29th, March 2025 GMT
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার পদ্মা সেতু এলাকায় ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ দুই দিন ধরে অব্যাহত আছে।
আজ শনিবার সকাল থেকে এক্সপ্রেসওয়ে ও সেতু এলাকায় যানবাহনের চাপ ছিল। তবে কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যেতে পারছেন এ পথের যাত্রীরা।
চালক ও যাত্রীরা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে ঈদে বাড়ি ফেরার জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করতে হতো তাঁদের। পদ্মা পাড়ি দেওয়ার জন্য শিমুলিয়া ফেরিঘাটে এসে একসময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা, এমনকি এক দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো তাঁদের। সেতু উদ্বোধনের পর থেকে সে ভোগান্তি কমেছে। তবে সেতু চালু হওয়ার পর বিগত কয়েকটা ঈদে সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় জটলা বাঁধার কারণে তাঁদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এবার ঈদের ছুটিতে শুক্রবার সকালে কিছুটা ভোগান্তি হলেও এর পর থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত স্বস্তির সঙ্গে গন্তব্যে যেতে পারছেন যাত্রী ও চালকেরা।
পদ্মা সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকাল থেকে ঈদে ঘরমুখী মানুষের যানবাহনের জটলা ছিল। সে হিসেবে আজ সকাল থেকে গাড়ি একবারের জন্য জটলা বাঁধেনি। তবে সকাল থেকে গাড়ির চাপ আছে। ঈদের আগে এমন চাপ একেবারেই স্বাভাবিক। ভোর থেকে সব ধরনের যানবাহন পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় এসে মুহূর্তের মধ্যে টোল পরিশোধ করে তাদের গন্তব্যে চলে যেতে পারছে।
আবু সাঈদ বলেন, যদি পোশাকশ্রমিকেরা ইতিমধ্যে বাড়ি গিয়ে থাকেন, তাহলে এ পথে আর তেমন চাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে এখনো যদি পোশাককর্মীরা তাঁদের চাকরি এলাকায় অবস্থান করেন এবং আজ-কালকের মধ্যে বাড়ি ফিরতে চান, সে ক্ষেত্রে আরেকবার এ পথে চাপ পড়তে পারে। তবে সব ধরনের চাপ মোকাবিলার করে যাত্রী ও চালকদের স্বস্তিতে বাড়ি যেতে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে সেতু বিভাগের।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট কামরুজ্জামান বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতু এলাকার কোথাও গাড়ির কোনো জটলা নেই। সড়ক ফাঁকা থাকায় গাড়িগুলো কোনোরকম ভোগান্তির ছাড়াই সেতুর টোল প্লাজায় যেতে পারছে। তারা টোল পরিশোধ করে গন্তব্যের দিকে ছুটে যাচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
বিচ্ছেদ কী বললেন আমির
বছর তিনেক আগে ‘লাল সিং চাড্ডা’র বক্স অফিস ব্যর্থতার পর কার্যত লাপাত্তা হয়েছিলেন আমির খান। তবে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা নিজের নতুন সিনেমা ‘সিতারে জমিন পার’-এর প্রচারে আবার সরব এই বলিউড তারকা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।
সব সাক্ষাৎকারেই ঘুরেফিরে এসেছে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ। রিনা দত্ত ও কিরণ রাওয়ের সঙ্গে সংসার টেকেনি। কিছুদিন আগেই গৌরি স্প্র্যাটের সঙ্গে নতুন সম্পর্কের কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি রাজ সামানির পডকাস্টে হাজির হয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা। অকপটে স্বীকার করেছেন, রিনাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত ছিল একেবারেই হঠকারী।
আমির খান জানান, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। জীবনে সবচেয়ে বড় কোনো আফসোস আছে কি না, এমন প্রশ্নে আমির বলেন, ‘ভুল তো অনেক করেছি। একটা নয়। রিনা আর আমি খুব তাড়াতাড়িই বিয়ে করে ফেলেছিলাম। আমি তখন ২১, ও ছিল ১৯। আসলে আমি যেদিন আইনিভাবে বিয়ে করতে পারতাম, সেদিনই করেছি; ১৮ এপ্রিল। তবে এটা ভাববেন না, আমি বলছি রিনাকে বিয়ে করাটা ভুল ছিল। আমি বলছি, সময়টা হয়তো সঠিক ছিল না। রিনার সঙ্গে আমার জীবনটা খুব ভালো কেটেছে। রিনা দারুণ একজন মানুষ। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আছে, ভালোবাসাও আছে। তবে আমি মনে করি না এত ছোট বয়সে কারও এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তা–ও আবার এমন তাড়াহুড়া করে।’ তখনই অভিনয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন আমির, আর তাঁদের বিয়ের বিষয়টি একেবারে গোপন রেখেছিলেন দুজন।
পডকাস্টে আমির আরও বলেন, ‘এটা শুধু একটা উদাহরণ। বাস্তব জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার ইরা আর জুনাইদকে ওই বিয়ের মাধ্যমেই পেয়েছি। আমি ও রিনা ১৬ বছর একসঙ্গে কাটিয়েছি। কেউ চাইলে একে ভুল বলতে পারেন, কিন্তু আমি মনে করি, ওটা না হলে আজ আমি এখানে থাকতাম না।’ আমির ও রিনার বিচ্ছেদের একটি বড় কারণ নিয়েও কথা বলেন তিনি। ‘আমি তখন সিনেমায় ডুবে ছিলাম। সেটাই ছিল রেড ফ্ল্যাগ। আমি একপ্রকার কাজের নেশায় বুঁদ ছিলাম,’ বলেন আমির।
আমির খান। এএফপি