দুই বছরের বিরতি ভেঙে নতুন গান প্রকাশ করছে দেশের প্রথম সারির ব্যান্ড রেনেসাঁ। শিরোনাম ‘দিনের শেষে সবাই একা’। নন্দিত গীতিকবি শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা এই গানের সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার ও কণ্ঠশিল্পী পিলু খান। তাঁর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে সংগীতায়োজন করেছেন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী ও কি-বোর্ডিস্ট নকীব খান, লিড গিটারিস্ট রেজা, পারকাশনিস্ট কাজী হাবলু এবং গিটারিস্ট ও কণ্ঠশিল্পী ইমরান।
ঈদ উপলক্ষে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আজব রেকর্ডস তাদের ইউটিউব চ্যানেলে গানের লিরিক্যাল ভিডিও প্রকাশ করছে। এ ছাড়া স্বাধীন, আইটিউনস, স্পটফাইসহ শতাধিক স্ট্রিমিং অ্যাপে গানটি শুনতে পাবেন শ্রোতারা। এ আয়োজন নিয়ে ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য নকীব খান বলেন, ‘রেনেসাঁ সব সময় বিষয়ভিত্তিক গানে জীবনের কথা বলেছে, নতুন এই গানে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা ছিল। আশা করি, গানটি শ্রোতাদের ভালো লাগবে।’ নকীব খান আরও জানান, রেনেসাঁ এরই মধ্যে গানের ভুবনে পথচলার ৪০ বছর পূর্ণ করে ফেলেছে। এই মাইলফলক স্পর্শ করার অভিজ্ঞতা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করতে চান ব্যান্ডের সদস্যরা। নতুন এই গানের প্রকাশনাও ৪০ বছর পূর্তি উদযাপনেরই একটি অংশ।
রেনেসাঁর আরেক সদস্য পিলু খান বলেন, “ব্যান্ডের দীর্ঘ এই পথচলায় আমরা চেষ্টা করেছি গানে গানে শ্রোতাদের পাশে থাকতে। একসময় অ্যালবাম প্রকাশ করতাম। সময়ের পালাবদলে এখন একটি করে গান প্রকাশ করতে হচ্ছে। এর পরও সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে পথ চলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। শ্রোতাদের প্রত্যাশা পূরণে আয়োজন করে যাচ্ছি নতুন গানের। আশা করছি, রেনেসাঁর ‘দিনের শেষে সবাই একা’ গানটি অনেকের ভালো লাগবে।”
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব য ন ড দল নক ব খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।