দুইশ’ পরিবারকে ঈদ উপহার তুলে দিল জাবালে নূর ওয়েলফেয়ার
Published: 29th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে দুইশ’ অসহায় ও দরিদ্র পরিবারকে ঈদ উপহার তুলে দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনÑজাবালে নূর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন। শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে সংগঠনটির পাইকপাড়াস্থ কার্যালয়ে এ ঈদ উপহার তুলে দেয়া হয়।
সংগঠনের সভাপতি কাজী মেফতাহ উদ্দিন জসিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ’র সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন-সংগঠনের সহসভাপতি মুফতি আব্দুর রশিদ, সহসভাপতি কাজী মহিউদ্দিন আলিফ, সমাজসেবক হাজী সিরাজুল ইসলাম, সমাজসেবক কামাল হোসেন, হাফেজ মোঃ সেলিম, শফিকুল ইসলাম, শুক্কুর মাহমুদ, সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক আল আমিন, নাদিম হোসেন প্রমুখ।
এসময় সভাপতি কাজী মেফতাহ উদ্দিন জসিম বলেন, স্বপ্ন ও আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। যার ভেতরে স্বপ্ন আছে, আশা আছে সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে। আমরা সৌভাগ্যবান, কারণ আমাদের একদল স্বপ্নবাজ স্বেচ্ছাসেবক আছে। মানুষের সেবা করার জন্য একটা মন লাগে। মানুষের সেবা করাও একধরণের নেশা। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকেরা নেশার মতো মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংগঠনের অর্ধশতাধিক স্বেচ্ছাসেবক উপস্থিত ছিলেন।
জাবালে নূর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন গত কয়েক বছর ধরে নানা সেবামূলক কার্যক্রম করে আসছে। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষন, নারীদের সেলাই প্রশিক্ষন, শিশুদের বিনামূল্যে আরবী শিক্ষাসহ নানা সেবামূলক কাজ করে আসছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঈদ স গঠন র
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস