দরিভাল জুনিয়রের অধীনে ব্রাজিল দল মোটেই সন্তোষজনক ফুটবল খেলছিল না। ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচে, বুধবার (২৬ মার্চ) তো আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হলো ব্রাজিল। ব্যাপারটা ভালোভাবে নেয়নি ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। শুক্রবার (২৮ মার্চ) সিবিএস বরখাস্ত করে দরিভালকে।
এখন কাঙ্ক্ষিত প্রশ্ন হচ্ছে, ব্রাজিল দলের দায়িত্ব নিবেন কে? দরিভাল দায়িত্ব নেওয়ার আগেও রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে জড়িয়ে খবর এসেছিল গণমাধ্যমে। এবারও ব্যতিক্রম হলো না। তবে আনচেলত্তি বলেন, “আমার চুক্তি খুবই স্পষ্ট, এর বাইরে কিছু বলার নেই। আমি ব্রাজিল জাতীয় দল, তাদের খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের অনেক ভালোবাসি। তবে আমি রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। এই চুক্তি একদম পরিষ্কার।”
আরো পড়ুন:
ব্রাজিলের কোচ হওয়ার বিষয়ে যা বললেন আনচেলোত্তি
তবে কি আনচেলত্তিই হতে যাচ্ছেন ব্রাজিলের কোচ?
এই ইতালিয়ান ম্যানেজারকে আরও জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এই সপ্তাহে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন থেকে আবারও কোনো যোগাযোগ করা হয়েছে কিনা। উত্তরে তিনি সোজাসাপ্টা বলেন, “না।” আনচেলত্তির ব্রাজিলের ডাগআউটে আসার পথে বড় বাধা হতে পারে রিয়ালের সঙ্গে এই ইতালিয়ান কোচের চুক্তি। লস ব্ল্যাঙ্কসদের সঙ্গে তার চুক্তি ২০২৬ সাল পর্যন্ত। আর এই চুক্তির কারণে তাঁর ব্রাজিলে আসাটা জটিলও হয়ে উঠতে পারে।
অন্যদিকে সিবিএফ আল হিলালের পর্তুগিজ কোচ হর্হে জেসুসকেও তাদের পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। তবে এই ৭০ বছর বয়সী কোচের ব্রাজিলের দায়িত্ব নেওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা নেইমার! নেইমার সৌদি ক্লাব আল হিলালে খেলার সময় জেসুসের সাথে সম্পর্ক একদমই ভালো ছিল না। তাই আল হিলালের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ এই বছরের গ্রীষ্মে শেষ হলেও জেসুসকে ব্রাজিলের ডাগআউটে দেখার ব্যাপারে ধোঁয়াশা আছে।
যদি জেসুসকেও না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে সাবেক লেফটব্যাক ফিলিপে লুইসেই সমাধান খুঁজতে হবে ব্রাজিলকে। সেলেসাওদের হয়ে ৪৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এই ডিফেন্ডার। বর্তমানে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লামেঙ্গোর দায়িত্বে আছেন তিনি। লুইস ২৭ ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে ১৯টিতে জিতিয়েছেন ফ্লামেঙ্গোকে।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আনচ ল
এছাড়াও পড়ুন:
৮% জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য হয়, প্রশ্ন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তাদের প্রশ্ন, ঐকমত্য কমিশনে কোনো রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে বা তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য গঠন হয়।
‘অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮% জনগোষ্ঠীর অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্যে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) তরুণ রায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগে হোক বা পরে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো ৮ শতাংশ শুধু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জায়গা। তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলকে। সে ক্ষেত্রে এমন অবস্থা চলমান থাকলে ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র বয়কটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আক্রান্ত হতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘুরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলন থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৮ দফা দাবি তোলা হয়। সেসব দাবি বাস্তবায়নে তখন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু গত ১ বছরে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আশানুরূপ কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।
সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছে, বিগত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আগামী দিনের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় ৮ দফার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮ দফা যে দেশের ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের মনের কথা জানান দিতে ২২ আগস্ট ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, সরকারের ঐকমত্য কমিশনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই। দেশের একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তো ঐকমত্য গঠন হতে পারে না। গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট আছে। সংখ্যালঘুদের সব সংগঠন আট দফা দাবিতে একাত্ম। যদি নির্বাচন–পূর্ববর্তী সময়ে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে না দেখা যায়, তাহলে হয়তো সংখ্যালঘুরা ভোট বয়কট লড়তে পারে।
এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক সুব্রত বল্লভ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আদিবাসী সংগঠক সুমন ত্রিপুরা।