রোজার দুই দিন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করত সদ্য। চুল কাটত, জায়নামাজ ধুয়ে ঝকঝকে করে তুলত আর নতুন টুপি কিনত। পুরোনো টুপি দিয়ে সে কখনো রমজান শুরু করত না—কত আগ্রহ, কত উচ্ছ্বাস! আমাকে তাড়া দিয়ে বলত, ‘মা, বাজারে যাবে না? গরুর মাংস কিনবে না! আমি কিন্তু গরুর মাংস ছাড়া সাহ্রি খাব না।’
ছেলের এই আবদার শুনে ওর বাবাও হাসিমুখে গরুর সামনের একটা আস্ত রান নিয়ে আসত। সদ্য তখন খুশিতে ডগমগ হয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলত, ‘বাবা, তুমি অনেক ভালো বাবা।’
পরে আমার কাছে এসে উচ্ছ্বাসে বলত, ‘মা, গরুর মাংস তো অনেক আনছে বাবা, তুমি তাহলে ভুনা খিচুড়ি রান্না করো সাহ্রির জন্য।’
আমি হেসে বলতাম, ‘বাবা, ভুনা খিচুড়ি সাহ্রিতে খায় না, আমি এখনই রান্না করে দিচ্ছি।’ এই কথা শুনে আমার বাবাটা কতই না খুশি হতো।
মায়ের সঙ্গে সদ্য.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পলিটিশিয়ান, ইঞ্জিনিয়ার বা আর্কিটেক্টের চেয়ে দেশ অনেক বড়
ছবি: নাসির আলী মামুন, ফটোজিয়াম