নেত্রকোনায় উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ককে অব্যাহতি
Published: 30th, March 2025 GMT
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়ককে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি শামসুল হুদা স্বাক্ষরিত পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই দুই নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারোয়ার আলম ও সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতারা হলেন দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পারভেজ মোশারফ ওরফে মাসুম বিল্লাহ ও পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল রহমান ওরফে আরিফ মোড়ল।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে ওই দুই নেতা বিভিন্ন সময় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিকভাবে সুবিধা আদায় করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তাঁরা সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালুর ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ আছে। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার তাঁদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের ওই দুই নেতার সঙ্গে কোনো রকম সম্পর্ক না রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পারভেজ মোশারফ এবং পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল রহমানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পারভেজ মোশারফের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। আর আরিফুল রহমান ফোন ধরেননি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫