সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুরে দুই গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে রৌমারীর শৌলমারী ইউনিয়নের গয়টাপাড়া গ্রামে ও রাজীবপুরের সদর ইউনিয়নের করাতিপাড়া গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের করাতিপাড়া গ্রামে ঈদের জামাতে ইমামতি ও খুতবা পাঠ করেন আব্দুল হাকিম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এ গ্রামের ঈদ উদযাপন করে আসছেন মুসিল্লরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজও ঈদের নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।

রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের করাতিপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন, শফি আহমেদ ও কাউসার হোসেন ঈদের নামাজ শেষে বলেন, তাদের পূর্বপুরুষরাও সৌদির আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদের নামাজ আদায় করতেন। তা রক্ষা করে আসছেন তারাও।

এদিকে রৌমারীর শৌলমারী ইউনিয়নের গয়টাপাড়া গ্রামের ফিরোজ ও শাহনুর ইসলাম ঈদের নামাজ শেষে জানান, দীর্ঘদিন থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করেন ও রোজা রাখেন তারা।

রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ উলিয়াস বলেন, করাতিপাড়া গ্রামের বেশকিছু মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করেন। এতে আমাদের কোনো অসুবিধা হয় না। সবার সাম্প্রতিক বন্ধন অটুট রয়েছে।

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, সৌদির সঙ্গে মিল রেখে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঈদ উদযাপন করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। এতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স দ আরব কর ত প ড় উদয প

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ