ঈদ মানেই ঢালিউড কিং শাকিব খানের সিনেমা। তার অভিনীত মুক্তিপ্রতীক্ষিত ‘বরবাদ’ সিনেমার কারণে আলোচনার তুঙ্গে এই অভিনেতা। ঈদ আনন্দে প্রবাসীদের ভোলেননি শাকিব। রেমিটেন্স যোদ্ধাদের মঙ্গল কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন এই নায়ক।
রবিবার (৩০ মার্চ) মেগাস্টার শাকিব খানের প্রযোজনা সংস্থা এসকে ফিল্মসের ফেসবুক পেজ থকে এক পোস্ট দিয়ে প্রবাসীদের পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। পরে সেই পোস্ট নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে শেয়ার করেছেন।
এ পোস্টে শাকিব খান লেখেন, “অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশের জন্য অবদান রাখা সকল প্রবাসী ভাই ও বোনদের জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক। পবিত্র এই উৎসব আপনার ও আপনার পরিবারকে আনন্দ, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে তুলুক, আমিন।”
আরো পড়ুন:
প্রকাশ্যে ‘চাঁদ মামা’, নেটিজেনরা বলছেন ‘আগুন’
শাকিবের জন্মদিনে কী বার্তা দিলেন অপু-বুবলী?
পোস্টটি দেওয়ার চার ঘণ্টায় মন্তব্য পড়েছে প্রায় আড়াই হাজার। তার ভক্ত-অনুরাগীরাও তাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ঈদুল ফিতরে ‘বরবাদ’ সিনেমার মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিলে। গত ২৬ মার্চ বিকালে মুক্তির সব সংকট কেটে যায়। সেদিন সন্ধ্যা থেকেই অফিসে হাজির হতে থাকেন একের পর এক বুকিং এজেন্ট। রেন্টালও উঠতে থাকে আকাশচুম্বী। শাকিব খানের আগের সব সিনেমার রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ‘বরবাদ’ সিনেমা সর্বোচ্চ রেন্টাল পেয়েছে ১৩ লাখ টাকা।
‘বরবাদ’ সিনেমার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন শহীদুল্লাহ মিয়া (মাস্টার)। প্রবীণ এই ব্যবস্থাপক জানান, তাদের লক্ষ্য ১২০টির বেশি হলে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া। এরই মধ্যে শতাধিক হল চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
‘বরবাদ’ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার ইধিকা পাল। দ্বিতীয়বারের মতো জুটি বেঁধে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন এই যুগল। তা ছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— যীশু সেনগুপ্ত, মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, ফজলুর রহমান বাবু প্রমুখ। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন শাহরিন আক্তার সুমি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন প রব স বরব দ
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি