হার্দিক পান্ডিয়া অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। দলের বাজে অবস্থায় অধিনায়কের এমনিতেই দিশাহারা অবস্থা হওয়ার কথা, এর মধ্যে আবার পান্ডিয়া পেয়েছেন আরও একটা দুঃসংবাদ। মুম্বাইয়ের মন্থর ওভার রেটের কারণে ১২ লাখ রুপি জরিমানা গুনতে হয়েছে তাঁকে।

এবারের মৌসুমের মুম্বাইয়ের প্রথম ম্যাচ ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে; ওই ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি পান্ডিয়া। গত মৌসুমের শেষ ম্যাচে মন্থর ওভার রেটের কারণে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন মুম্বাই অধিনায়ক, যেটা কার্যকর হয়েছে এই মৌসুমের প্রথম ম্যাচে। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আইপিএলের নতুন মৌসুম শুরু করেছিলেন পান্ডিয়া।

তাতে দল তো ৩৬ রানে হেরেছেই, জরিমানা গুনতে হচ্ছে পান্ডিয়াকেও। আবারও তাঁর দল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারায় ১২ লাখ রুপি ম্যাচ ফি জরিমানা দিতে হবে তাঁকে।
আবার কি নিষিদ্ধ হবেন পান্ডিয়া

গত মৌসুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস মোট তিনটি ম্যাচে মন্থর ওভার রেটে বোলিং করেছিল। যে কারণে বড় শাস্তি পেতে হয়েছিল পান্ডিয়াকে—এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে গুনতে হয়েছিল ৩০ লাখ রুপি জরিমানা। এবার অবশ্য মন্থর ওভার রেটের এই শাস্তির নিয়ম কিছুটা শিথিল করেছে বিসিসিআই। এখনকার নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ম্যাচে মন্থর ওভার রেটের কারণে একটি করে ডিমোরিট পয়েন্ট পাবেন অধিনায়কেরা।

সঙ্গে ২৫ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা। তবে তাঁদের ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে কি না, তাঁর সেই সিদ্ধান্ত থাকছে ম্যাচ রেফারিদের হাতে। একই মৌসুমে কোনো অধিনায়ক চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে ম্যাচ রেফারি তাঁকে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবেন বা জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে পারবেন আরও। প্রতিটি ডিমেরিট পয়েন্ট তিন বছর পর্যন্ত থাকবে অধিনায়কদের নামের পাশে।


রোহিত শর্মাকে সরিয়ে পান্ডিয়াকে অধিনায়ক করার পর গত মৌসুমে ১৪ ম্যাচে ৪ জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে আইপিএল শেষ করেছিল মুম্বাই। এবারও প্রথম দুই ম্যাচে কোনো জয় পায়নি তারা।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ