১২ লাখ রুপি জরিমানা পান্ডিয়ার, আবার কি নিষিদ্ধ হবেন
Published: 30th, March 2025 GMT
হার্দিক পান্ডিয়া অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। দলের বাজে অবস্থায় অধিনায়কের এমনিতেই দিশাহারা অবস্থা হওয়ার কথা, এর মধ্যে আবার পান্ডিয়া পেয়েছেন আরও একটা দুঃসংবাদ। মুম্বাইয়ের মন্থর ওভার রেটের কারণে ১২ লাখ রুপি জরিমানা গুনতে হয়েছে তাঁকে।
এবারের মৌসুমের মুম্বাইয়ের প্রথম ম্যাচ ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে; ওই ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি পান্ডিয়া। গত মৌসুমের শেষ ম্যাচে মন্থর ওভার রেটের কারণে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন মুম্বাই অধিনায়ক, যেটা কার্যকর হয়েছে এই মৌসুমের প্রথম ম্যাচে। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আইপিএলের নতুন মৌসুম শুরু করেছিলেন পান্ডিয়া।
তাতে দল তো ৩৬ রানে হেরেছেই, জরিমানা গুনতে হচ্ছে পান্ডিয়াকেও। আবারও তাঁর দল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারায় ১২ লাখ রুপি ম্যাচ ফি জরিমানা দিতে হবে তাঁকে।
আবার কি নিষিদ্ধ হবেন পান্ডিয়া
গত মৌসুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস মোট তিনটি ম্যাচে মন্থর ওভার রেটে বোলিং করেছিল। যে কারণে বড় শাস্তি পেতে হয়েছিল পান্ডিয়াকে—এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে গুনতে হয়েছিল ৩০ লাখ রুপি জরিমানা। এবার অবশ্য মন্থর ওভার রেটের এই শাস্তির নিয়ম কিছুটা শিথিল করেছে বিসিসিআই। এখনকার নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ম্যাচে মন্থর ওভার রেটের কারণে একটি করে ডিমোরিট পয়েন্ট পাবেন অধিনায়কেরা।
সঙ্গে ২৫ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা। তবে তাঁদের ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে কি না, তাঁর সেই সিদ্ধান্ত থাকছে ম্যাচ রেফারিদের হাতে। একই মৌসুমে কোনো অধিনায়ক চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে ম্যাচ রেফারি তাঁকে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবেন বা জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে পারবেন আরও। প্রতিটি ডিমেরিট পয়েন্ট তিন বছর পর্যন্ত থাকবে অধিনায়কদের নামের পাশে।
রোহিত শর্মাকে সরিয়ে পান্ডিয়াকে অধিনায়ক করার পর গত মৌসুমে ১৪ ম্যাচে ৪ জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে আইপিএল শেষ করেছিল মুম্বাই। এবারও প্রথম দুই ম্যাচে কোনো জয় পায়নি তারা।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।