জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আজ ঈদ হলেও বাংলাদেশের অনেকের ঘরেই ঈদের আনন্দ নেই। অনেক মা তার সন্তানের জন্য কান্না করছে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার হতেই হবে।

আজ সোমবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নেওয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, আমরা শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার হতেই হবে। তাহলে এই শহীদদের পরিবার কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পাবে। আমরা আগামীতে এমন একটি বাংলাদেশ প্রত্যাশা করি যেখানে রক্তের হোলি খেলা হবে না। যেখানে মানুষের জীবনকে তুচ্ছ হিসেবে গণ্য করা হবে না। যেখানে মানুষ ভালোবাসা সম্মান মর্যাদা এবং সমতার ভিত্তিতে বসবাস করতে পারবে। এখানে ধর্ম বিবেচনায় মানুষকে প্রমাণ করা হবে না এবং তার অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে না। একজন নাগরিক হিসেবে সকলেই সেখানে সমান অধিকার ভোগ করবে। আর এসব শুধু আল্লাহর কোরআনের আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্ভব। আমরা এই সমাজের জন্য লড়াই করছি। আমরা ক্ষুধামুক্ত একটি সমাজ চাই।

ডা.

শফিকুর রহমান বলেন, আমরা চাঁদাবাজ-দখলবাজ মুক্ত সমাজ গড়তে চাই। এ ব্যাপারে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। এই কথাটি যদি আমার নিজের বিপক্ষে যায় তাও আমাকে বলতেই হবে। সত্য কথা বলা ছাড়া আমাদের অন্য কোনো উপায় নেই। এই দেশে আর দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি আমরা হতে দিতে চাই না। কারণ মানুষ আর মানুষ ফ্যাসিবাদের কবলে পড়তে চায় না।

এর আগে জামায়াত আমির উপস্থিত মুসল্লিদের সঙ্গে কোলাকুলি করেন এবং কুশল বিনিময় করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ