আজ অনেকের ঘরেই ঈদের আনন্দ নেই, অনেক মা সন্তানের জন্য কান্না করছে: জামায়াতে আমির
Published: 31st, March 2025 GMT
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আজ ঈদ হলেও বাংলাদেশের অনেকের ঘরেই ঈদের আনন্দ নেই। অনেক মা তার সন্তানের জন্য কান্না করছে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার হতেই হবে।
আজ সোমবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নেওয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, আমরা শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার হতেই হবে। তাহলে এই শহীদদের পরিবার কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পাবে। আমরা আগামীতে এমন একটি বাংলাদেশ প্রত্যাশা করি যেখানে রক্তের হোলি খেলা হবে না। যেখানে মানুষের জীবনকে তুচ্ছ হিসেবে গণ্য করা হবে না। যেখানে মানুষ ভালোবাসা সম্মান মর্যাদা এবং সমতার ভিত্তিতে বসবাস করতে পারবে। এখানে ধর্ম বিবেচনায় মানুষকে প্রমাণ করা হবে না এবং তার অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে না। একজন নাগরিক হিসেবে সকলেই সেখানে সমান অধিকার ভোগ করবে। আর এসব শুধু আল্লাহর কোরআনের আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্ভব। আমরা এই সমাজের জন্য লড়াই করছি। আমরা ক্ষুধামুক্ত একটি সমাজ চাই।
ডা.
এর আগে জামায়াত আমির উপস্থিত মুসল্লিদের সঙ্গে কোলাকুলি করেন এবং কুশল বিনিময় করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫