নাট্যনির্মাতা সাইফ আহম্মেদের রচনা ও পরিচালনায় গ্রামীণ পটভূমির একটি একক নাটকে নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। নাটকের নাম ‘বেকার বারেক’। গাজীপুরের পুবাইলে চিত্রায়িত নাটকটিতে মোশাররফ ছাড়াও অভিনয় করেছেন ঝুনা চৌধুরী, সালহা খানম নাদিয়া, শহীদুল্লাহ সবুজ, সাইফ আহম্মেদ প্রমুখ।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, বেকার যুবক বারেক হাঠাৎ শহর থেকে মোবাইল মেরামত শিখে এসে গ্রামে খুলে ফেলে মোবাইল হাসপাতাল।

মোবাইলের সব সমস্যাই এ হাসপাতাল থেকে সমাধান হয়। কিন্তু রহস্য থেকে যায়, এসব কাজের সবকিছুই সে করে গোপন কক্ষে বসে। যার নাম সে দিয়েছে অপারেশন রুম। বারেকের বেকার অপবাদ ঘুচে যায়। বারেকের প্রেমিকা লতার বাবাও বারেককে পছন্দ করতে শুরু করেন। গ্রামের সবাই বারেককে নিয়ে আনন্দিত। খটকা তৈরি হয়, বারেক মোবাইল মেরামত করতে পারলেও মোবাইলের সমস্যা নিয়ে সবার সামনে যে ধরনের মতামত দেয়, তা তার দক্ষতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

‘বেকার বারেক’ নাটকে মোশাররফ করিম ও সালহা খানম নাদিয়া.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম শ ররফ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ