উৎসবে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও হতাশা কাটাতে করণীয়
Published: 1st, April 2025 GMT
উৎসবে সাধারণত একটু ‘রুটিন ব্রেক’ হয়ে যায়। এর প্রভাব পরে পারিবারিক সম্পর্ক ও মনে। অনেকের পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আবার কেউ কেউ হতাশায় ভুগতে থাকেন। পরিবারের সদস্যদের এড়িয়ে চলা এবং অধিক খাবার গ্রহণ করার মতো কারণগুলো মানসিক হতাশা বাড়িয়ে তুলতে পারে। হতাশা কাটাতে করণীয় জেনে নিন।
ডা. সুব্রত সাহা কনসালটেন্ট, নিউরো থেরাপিস্ট একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘সারাদিনের নির্দিষ্ট একটি সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকুন। যত কাজকর্মই থাকুক না কেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। সকালে নিয়ম করে ঘুম থেকে উঠতে হবে। অন্তত ১৫ মিনিট মর্নিং ওয়াক করুন। খাওয়ার পরে নির্দিষ্ট সময় হাঁটাচলা করুন।’’
এই নিউরো থেরাপিস্টের পরামর্শ হচ্ছে, হতাশা এড়াতে সকালে ভারি খাবার গ্রহণ করুন। দুপুরে একটু কম ভারি খাবার গ্রহণ করুন। এবং রাতে হালকা খাবার গ্রহণ করুন। এতে সহজেই হতাশা দূর করতে পারবেন।
উৎসবে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হৃদ্যতা বাড়াতে বাড়ির সবাই মিলে একসঙ্গে খান। এ সময় নিজেদের মধ্যে কথা বলার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করতে মোবাইল, ট্যাব বা অন্যান্য গ্যাজেট দূরে রাখুন। এর ফলে মনে রাখার মতো মুহূর্ত তৈরি হবে। এ ছাড়া উৎসবে বাড়িতে নানা ধরনের ব্যস্ততা বাড়ে। যে বা যিনি পরিশ্রম করছেন তাকে প্রশংসা করতে ভুলবেন না। প্রশংসা হলো এক ধরনের মানসিক সমর্থন। এতে পারিবারিক সম্পর্কের গতিশীলতা বাড়ে।
ঢাকা/ লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু