মিয়ানমারে ভূমিকম্পে আহতদের জন্য রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণ সহায়তা
Published: 1st, April 2025 GMT
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সহায়তা হিসেবে দেশটিতে এক টন হাইজিন কিট পাঠিয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস)।
মঙ্গলবার সকালে সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম (অব.) কুর্মিটোলা বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান এভিএম জাভেদ তানভীরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০ প্যাকেট হাইজিন কিট হস্তান্তর করেন।
অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৮ টন শুকনো খাবার, ২.
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তিনটি পরিবহন বিমানের মাধ্যমে জরুরি ওষুধ এবং ত্রাণ সামগ্রীর দ্বিতীয় চালানে এ সহায়তা পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও ৩৭ জন সদস্যসহ মোট ৫৫ জন উদ্ধারকারী এবং চিকিৎসককে মিয়ানমারের জন্য জরুরি উদ্ধার কাজ ও সহায়তায় পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
ত্রাণ সহায়তা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম উদ দৌলা, কর্নেল শফিক (সামরিক অভিযান) এবং বিডিআরসিএস এর ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক মো. মিজানুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে মিয়ানমারে জরুরি ত্রাণ সামগ্রীর প্রথম চালান পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে ছিল ওষুধ, তাঁবু, শুকনো খাবার এবং চিকিৎসক দল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভ ম কম প
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।