সাধারণ ব্যবহারকারীরাও গুগল সার্চের নতুন এআই মোড ব্যবহার করতে পারবেন
Published: 2nd, April 2025 GMT
গুগল সম্প্রতি সার্চের জন্য নতুন ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মোড’ চালু করেছে। এই মোড উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সার্চকে আরও বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ও কার্যকর করে তুলবে। নতুন এই মোড ব্যবহারকারীদের সরাসরি সার্চ ফলাফলের পেজেই কাঙ্ক্ষিত তথ্যের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ উপস্থাপন করবে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে আলাদা করে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার প্রয়োজনীয়তা কমে যাবে। প্রাথমিকভাবে এই সুবিধা কেবল গুগল ওয়ান এআই প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। তবে এবার চালু হওয়ার মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ গুগল ব্যবহারকারীদের জন্যও এটি উন্মুক্ত করা হয়েছে।
গুগল সার্চের প্রচলিত অল ও ইমেজেস ট্যাবের পাশেই নতুন এআই মোড যুক্ত করা হয়েছে। গুগল জানিয়েছে, এটি মূলত এআই ওভারভিউসের একটি উন্নত সংস্করণ। যা আরও গভীর বিশ্লেষণ, যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং মাল্টিমিডিয়া তথ্য বিশ্লেষণের সক্ষমতা বাড়িয়েছে। নতুন এই মোড বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবহারকারীর জন্য সংক্ষিপ্ত ও সুবিন্যস্ত আকারে উপস্থাপন করতে সক্ষম। ফলে সার্চ করা কোনো বিষয়ের উত্তর দ্রুত পাওয়া যাবে এবং একাধিক ওয়েবসাইট ঘেঁটে তথ্য খোঁজার প্রয়োজন কমে যাবে।
গুগল এখনো নিশ্চিত করেনি কবে নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অন্যান্য দেশে এই সুবিধা চালু করা হবে। তবে গুগলের সার্চ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রবি স্টেইন জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে এর ব্যবহার আরও বিস্তৃত করা হবে।
যারা আগে থেকেই গুগল ল্যাবসের এআই মোডের ওয়েটলিস্টে নাম লিখিয়েছেন, তাঁরা শিগগিরই এই ফিচার ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। নতুন ব্যবহারকারীরাও চাইলে গুগল ল্যাবসের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এআই মোড ব্যবহারের জন্য আবেদন করতে পারেন। একবার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হলে গুগল ই–মেইলের মাধ্যমে নিশ্চিত করবে যে ব্যবহারকারী এ ফিচারটি সক্রিয় করতে পারবেন।
গুগল জানিয়েছে, এই মোড আরও উন্নত করতে বেশ কিছু নতুন সুবিধা যোগ করা হবে। ভবিষ্যতের আপডেটে ভিজ্যুয়াল রেসপন্স, আরও উন্নত ফরম্যাটিং এবং প্রাসঙ্গিক ওয়েবসাইটের তথ্য আরও কার্যকরভাবে উপস্থাপন করার ব্যবস্থা থাকবে। এতে ব্যবহারকারীরা আরও সহজে ও দ্রুত অনুসন্ধানের ফলাফল পেতে পারবেন।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র এআই ম ড এই ম ড র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি