মাছ ধরতে মধুমতি নদীতে যান চার বন্ধু, নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ কলেজছাত্র
Published: 2nd, April 2025 GMT
গোপালগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে মধুমতি নদীতে নিখোঁজ হন কলেজছাত্র আ. করিম মুন্সি (২২)। নিখোঁজের সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
কলেজছাত্র করিম মুন্সী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতালশাহী গ্রামের হাফিজুর মুন্সীর ছেলে। তিনি ঢাকার মিরপুরের ঢাকা মডেল কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন ।
গোপালগঞ্জ সদর ফায়ার সার্ভিসের লিডার নাজমুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসেন আ.
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রথমে এলাকাবাসী ও পরে মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল করিম মুন্সীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। নিখোঁজের সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর ডুবুরি দল সন্ধ্যা ৬টার দিকে কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে। রাতে আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ কর ম ম ন স
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’