সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ‘পর্যাপ্ত’ সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এ মামলায় যেকোনো সময় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আজ বুধবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ তাঁর (শেখ হাসিনার) বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে। এটা আদালতে আমরা প্রমাণ করব ইনশা আল্লাহ। সেটার ওপর বাকি তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমরা অকাট্যভাবে প্রমাণ করব তাঁর অপরাধ।’

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে ব্যাপক কাজ করেছে বলেও জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন এখনো হাতে আসে নাই। চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে।’

ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী, কোনো মামলায় তদন্ত শেষে প্রথমে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এরপর পর্যালোচনা ও যাচাই শেষে সেই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়। প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার পর তা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর বা তাঁর কার্যালয়।

কবে নাগাদ শেখ হাসিনার মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে, তা জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিলের প্রক্রিয়া চলছে এখন। …যেকোনো সময় দাখিল হয়ে যাবে।’

গণ–অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে প্রথম মামলা (বিবিধ মামলা বা মিস কেস) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। যেখানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে।

এ মামলায় আগামী ২০ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গুম ও খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে, অন্যটিতে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের হত্যা-নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তদন ত স স থ দ খ ল কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

আলিসের ফিরতে হবে পরের বিপিএলে

শেষ বিপিএলে চমক দেখিয়ে আবারো লাইমলাইটে চলে এসেছিলেন আলিস আল ইসলাম। মনে হচ্ছিল, এবার বুঝি জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে নিজের জায়গটা পাকাপোক্ত করতে পারবেন। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মমতা। বিপিএলের ফাইনালে নিজের দল চিটাগং কিংসকে তুলে ফাইনাল খেলতে পারেননি। হাঁটুর চোটে ছিটকে যান ফাইনাল থেকে। এরপর তাকে যেতে হয়েছে চিকিৎসকদের ছুরি কাঁচির নিচে। দেশের বাইরে অস্ত্রোপচার শেষ করেছেন। এখন আছেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায়। ২২ গজে ফিরতে তাকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে আরেকটি বিপিএলের। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে হতে পারে বিপিএল। সেই প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখেই মাঠে ফেরার পরিকল্পনা করছেন বৈচিত্র্যময় স্পিনার। 

রাইজিংবিডি-কে মুঠোফোনে আলিস বললেন, ‘‘আগামী বিপিএল দিয়ে আমার মাঠে ফেরার পরিকল্পনা। এর আগে চাইলেও পারব না। কারণ আমার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া লম্বা হবে। এ প্রক্রিয়ায় আমি কেমন করি সেটার ওপর নির্ভর করবে আমার ফেরা। বিপিএলে এখনো সময় আছে। এজন্য চাইচ্ছি ধীর-স্থির গতিতে আগাতে। বোলিং কিংবা রানিং বা হাঁটা কবে শুরু করতে পারবো— এসব কিছুই এখনো ঠিক হয়নি। আপাতত আমাকে প্রপার ডায়েট, কিছু এক্সারসাইজ, কিছু থেরাপি আর মেডিটেশন করতে হবে। এসব করলে আমার ফেরার প্রক্রিয়ায় দ্রুত এগিয়ে যেতে পারব।’’ 

হাঁটুর এসিএল (অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট) চোটে পড়েছেন আলিস। অস্ত্রোপচার বাধ্যতামূলক ছিল। মালয়েশিয়ায় গত মাসে করানো হয় আলিসের অস্ত্রোপচার। ২১ দিন পুরোপুরি বিশ্রামের পর গত সপ্তাহে শুরু হয় তার পুনর্বাসন। এ ধরণের অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে ৯ মাস সময় লাগে। প্রকারভেদে আরো অনেক বেশি ও কম সময় লাগতে পারে। যেমন, ইবাদত হোসেনেরই লেগেছে প্রায় ১৩ মাস। আলিসের কম সময় লাগতে পারে স্পিনার হওয়াতে। দ্বিতীয়ত, কিভাবে নিজেকে যত্ন করছেন সেটাও নির্ভর করছে। 

আরো পড়ুন:

খুলনায় ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা শুরু

টিভিতে আজকের খেলা 

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি বলেছেন, ‘‘আমাদের টার্গেট নেক্সট বিপিএল। আমরা চাইছি সে যেন বিপিএলটা খেলতে পারে। দেখা যায় এসিএলে ৯ মাস সময় লাগে। আমরা সেটা ওভারকাম করতে চাচ্ছি। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করবে, কবে নাগাদ বোলিং শুরু করতে পারবে। বিপিএলটা টার্গেটে রেখে এগোনোর চেষ্টা করছি।” 

২০১৯ সালে  বিপিএলে যাত্রা শুরু করার পর অনেক চড়াই উৎরাই হয়েছে। বোলিং অ্যাকশন শোধরানো লেগেছে। ইনজুরিতে দেড় বছর বাইরে কাটিয়েছেন। তবুও ফিরে এসে বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এবারও বিশ্বাস, ফিরে এসে নিজের ছন্দেই থাকবেন তিনি। 

ঢাকা/ইয়াসিন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ