মৌ-তিশা-মাহিকে নিয়ে চয়নিকার ভিন্ন ৩ নাটক
Published: 3rd, April 2025 GMT
নাটক ইন্ডাস্ট্রিতে এবার শতাধিক নতুন নাটক নির্মাণ হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারের ঈদেও চয়নিকা চৌধুরী নির্মাণ করেছেন নাটক। ঈদ উপলক্ষে তিনি চারটি নাটক নির্মাণ করেছেন। নাটকগুলো হল ‘কোনো একদিন’, ‘ভালো থেকো মেঘ’ ‘কাজল ভোমরা’। এই তিনটি নাটকই প্রচার হবে ৩ এপ্রিল, দেশের তিনটি ভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে।
‘কোনো একদিন’
চয়নিকা চৌধুরীর নাটক মানেই সেখানে সম্পর্ক ও ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বলা যায় গল্পনির্ভর কাজ করতেই পছন্দ করেন এই নির্মাতা। ‘কোন একদিন’ নাটকটিও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানে স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন ও সাদিয়া ইসলাম মৌ। ৩ বছর পর তাদেরকে জুটি করে কাজ করলেন চয়নিকা।
রঙ্গন মিউজিকের ব্যানারে ‘কোনো একদিন’ নাটকটি রচনা করেছেন ফারিয়া হোসেন। ‘কোনো একদিন’ নাটকে আফজাল হোসেন ও সাদিয়া ইসলাম মৌ ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন সৌম্য জ্যোতি, তন্নী মাহমিদ তৃণা, আজম খান প্রমুখ।
এটি প্রচার হবে বৈশাখী টেলিভিশনে, রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে। তবে নাটকটি পরবর্তীতে ‘রঙ্গন মিউজিক’-এর ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাবে।
‘ভালো থেকো মেঘ’
তানজিন তিশা, সজল নূর এবং প্রান্তর দস্তিদারকে নিয়ে এই নির্মাতার আরেকটি নাটক ‘ভালো থেকো মেঘ’। আসিফ ইকবালের গল্পে চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন ইফফাত আরেফিন মাহমুদ। সজল নূর, তানজিন তিশা ছাড়াও এই নাটকে অভিনয় করেছেন ডলি জহুর, প্রান্তর দস্তিদার,ওয়াজিহা হক,আজম খান প্রমুখ। নাটকটি প্রযোজনা করেছে ‘গাংচিল মিউজি’। প্রচার হবে ‘গাংচিল মিউজিক’-এর ইউটিউব চ্যানেলে, দুপুর ১টায়।
পোস্টার
‘কাজল ভোমরা’
বেশ দীর্ঘ সময় পর ঈদের নাটক লিখেছেন চয়নিকা চৌধুরী। নাটকটির নাম ‘কাজল ভোমরা’। ‘কাজল ভোমরা’ নাটকে অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহি, জুনায়েদ বোগদাদি, মিলিবাশার, আজম খান প্রমুখ। নাটকটি প্রযোজনা করেছে আঁকা চিত্রগল্প। এটি প্রচার হবে এনটিভিতে, দুপুর ২টা ২০ মিনিটে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স দ য় ইসল ম ম আফজ ল হ স ন চয়ন ক একদ ন ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’