পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়দের নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাতে মানুষ ভিড় করছেন পদ্মা সেতু এলাকায়। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতু ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থান, অবকাঠামো ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা। সেই সঙ্গে নৌকায় করে ঘুরছেন। ঈদের চতুর্থ দিনে আজ বৃহস্পতিবার নির্মল বাতাসে পদ্মা নদীর নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন তাঁরা।

হাজারো দর্শনার্থীদের উপস্থিতির কারণে জাজিরার নাওডোবা ও শিবচরের কাঁঠালবাড়ি পর্যন্ত নদীর তীরজুড়ে বসেছে মেলা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নানা কিছুর পসরা নিয়ে বসেছেন।

ফরিদপুরের নগরকান্দা এলাকা থেকে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের নিয়ে পদ্মা সেতু এলাকায় পিকনিকে এসেছেন সুলতান হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিবারের অধিকাংশ মানুষ ব্যবসায়ী। ব্যস্ততার কারণে পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে আনন্দ উদ্‌যাপন করতে পারি না। তাই এ বছর ঈদের ছুটিতে সবাই মিলে পদ্মা সেতু এলাকায় পারিবারিক মিলন মেলা উদ্‌যাপন করেছি। সবার সঙ্গে আনন্দ-আড্ডায় হইচই করে একটি সুন্দর দিন কাটিয়েছি।’

পদ্মা সেতু এলাকায় বাহারি জিনিস বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ