পবিত্র ঈদ উল ফিতরের সরকারি ছুটির দিনগুলোতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সেবাকেন্দ্র সমূহের জরুরী সেবা চলমান রয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণ বিশেষ আগ্রহের সাথে  সকল প্রদেয় সেবাসমুহ গ্রহণ করেন।

এবারের ঈদ-উল-ফিতরে দীর্ঘ নয় দিনের সরকারি ছুটি ছিল।এই দীর্ঘ বন্ধেও সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ক্লিনিক্যাল বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহে জরুরি সেবা কার্যক্রম অব্যাহত ছিলো।

উল্লেখ্য, অত্র উপজেলায় ৯ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং ২ টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। 

উপজেলা কর্মকর্তাদের সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, এ সেবাকেন্দ্রসমূহে নিরাপদ প্রসবসেবা,প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা,গর্ভকালীন চেক-আপ ও গর্ভ-পরবর্তী চেক-আপ এর সকল প্রস্তুতি রয়েছে।

সাধারণত সরকারি ছুটির দিনে জরুরি সেবা ছাড়া সকল বহিঃর্বিভাগীয় সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ঈদের ২য় দিন জালকুড়ি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মঞ্জু আরা ১ টি সাধারণ প্রসব সম্পন্ন করেন। তাকে সহযোগিতা করেন দাই নার্স মণিমালা।

জেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ৪ জনকে প্রসবপূর্ব এবং ১ জনকে প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদান করা হয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদী পদ্ধতি ইমপ্ল্যাননের জটিলতায় ২ জনকে সেবা প্রদান করা হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আম্বিয়া খাতুন ২ টি সাধারণ প্রসব সেবা প্রদান করেন।

এ সময় ফতুল্লা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা সাবিকুন নাহার জানান,ছুটির দিনে চারজন গর্ভবতী মা এ,এন,সি সেবা নিয়েছেন।সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ঝুকিপূর্ণ গর্ভধারণ আছে কিনা যাচাই করা হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়া মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জনাব সজল আহমেদ জানান, সরকারি জরুরি সেবা এই ঈদের বন্ধেও অব্যাহত রাখার জন্যে  উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আমরা সচেষ্ট রয়েছি। স্থানীয়দের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে জানা যায়,তারা প্রসবসেবা সচল থাকায় সন্তুষ্ট।

এসময় সম্পূর্ণ সেবা প্রদান কার্যক্রম তদারকি করেছেন ডাঃ জাফরীন যোবায়রা সুরভী ( মেডিকেল অফিসার - এম সি এইচ - এফ পি)।

সকল কার্যক্রমে সার্বিকভাবে  সহযোগিতা প্রদান করেন না.

গঞ্জ সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আ তা ম বোরহান উদ্দিন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঈদ কল য ণ ক ন দ র র সদর উপজ ল র উপজ ল সরক র প রসব

এছাড়াও পড়ুন:

‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।

আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।

ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।

আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।

সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।

রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামির কাঠগড়ায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের ৪৫ মিনিট
  • পরবর্তী সরকারের পক্ষে এত সহজে সংস্কার আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা সম্ভব হবে না: আসিফ নজরুল
  • বিসিআইসির নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ
  • এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী প্রস্তুতি নিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন
  • ৪৪তম বিসিএস: মনোনীত প্রার্থীদের তথ্য চেয়ে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
  • ‘আগামীর বাংলাদেশে মিডিয়াকে দালাল হিসেবে দেখতে চাই না’ 
  • ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
  • মাইলস্টোনে দগ্ধ ৩৩ জন এখনো ভর্তি, আইসিইউতে ৩
  • শেখ হাসিনার অডিওগুলো শুনলে বোঝা যায়, তাঁর এখনো প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা আছে: আইন উপদেষ্টা
  • দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে