অবশেষে লবণবাহী ট্রাক ধরে মামলা দিল পুলিশ
Published: 4th, April 2025 GMT
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ লবনবাহী ট্রাক। প্রতিদিন রাতে খোলা ট্রাকে করে লবণ পরিবহন করা হয় এ সড়কে। লবণ পানি গলে (নিঃসৃত) মারাত্মক পিচ্ছিল হয় মহাসড়ক। যার ফলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না চালকরা।
উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়ায় এলাকায় পর পর দুই সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন প্রাণ হারালে টনক নড়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের। শুরু হয় গতিরোধক নির্মাণ কাজ। তবে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ লবণবাহী ট্রাক হলেও এতদিন সেটি বন্ধে কোনো পদক্ষেপ ছিল না।
৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়ায় মহাসড়কে লবণবাহী ট্রাক চলাচলের একটি লাইভ ভিডিও শেয়ার করে প্রতিবেদক। এতে টনক নড়ে দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশের। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ওই লবণবাহী ট্রাকটি আটক করে মামলা দেয় দোহাজারী হাইওয়ে থানা পুলিশ। এরপর ২ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানার স্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়।
কোনো সুরক্ষা ছাড়া প্রতিদিন শত শত লবণবাহী ট্রাক চলে এ মহাসড়কে। লবণ বোঝাই ট্রাকগুলো সন্ধ্যা নামলেই কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে যাত্রা শুরু করে। চলে রাতভর। এখন পর্যন্ত এ সড়কে অধিকাংশ দুর্ঘটনাও ঘটেছে ভোর রাতে। রাতভর খোলা ট্রাক থেকে নিঃসৃত লবণ পানি পিচ্ছিল করে সড়ক। আর সেই পিচ্ছিল সড়কে চালকরা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে খাদে পড়ে নতুবা মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনা ঘটায়।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে লবণ বোঝাই ট্রাকের কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। লবণের গাড়ি দেখলেই আমরা মামলা দিয়ে সতর্ক করছি, ইতোমধ্যে লবণ বোঝাই ট্রাককে মামলা দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-প্রকৌশলী আবু হানিফ বলেন, মহাসড়কে লবণ বোঝাই ট্রাকের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। খোলা ট্রাকে করে পরিবহনের সময় লবণ পানি নিঃসৃত হয়ে মহাসড়কের বিটুমিনের কার্পেটিংয়ের প্রলেপ উঠে যাচ্ছে। সড়কে ভাঙনও দেখা দেয়।
সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনা রোধে লবণবাহী ট্রাক বন্ধ করে দিতে হবে। লবণ রেল পথে এবং পানি পথে নিয়ে যেতে হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: লবণ ব ঝ ই ট র ক দ র ঘটন লবণ প
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।