কর্মস্থলগামী মানুষের চাপ বাড়ছে পাটুরিয়া ঘাটে
Published: 4th, April 2025 GMT
ঈদের ছুটি কাটিয়ে মানুষ আবার কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। তাঁরা ফেরি ও লঞ্চে করে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথ পারাপার হয়ে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় যাচ্ছেন। এতে পাটুরিয়া ঘাটে মানুষের চাপ বাড়ছে।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পাটুরিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে মানুষ দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আসছেন। এরপর লঞ্চে পদ্মা নদী পার হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন যাত্রীরা। এ ছাড়া দূরপাল্লার যানবাহনে করে যাত্রীরা ফেরিতে নদী পারাপার হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে আসছেন। এতে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় কর্মস্থলগামী মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
ঘাট এলাকায় যানজট নিরসনে কাজ করছেন জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক জাসেল আহমেদ। তিনি বলেন, ঈদ শেষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ফিরছেন। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরতে ঘাট এলাকায় যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন।
আজ সকাল ৯টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের নিয়ে এমভি মোস্তফা এবং সোয়া ৯টার দিকে এমভি অনিকা নামের দুটি লঞ্চ পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে আসে। এ সময় এ লঞ্চ দুটিতে গাদাগাদি করে যাত্রীদের নদী পারাপার হতে দেখা যায়। লঞ্চ থেকে নামার পর মালামাল নিয়ে যাত্রীরা বাস টার্মিনালের দিকে হাঁটতে শুরু করেন। পরে বাসে উঠে কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছেন তাঁরা।
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন ফরিদপুর সদর উপজেলার আবুল কালাম। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে গিয়েছিলেন তিনি। কর্মস্থলে যেতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আজ সকাল ৯টায় এমভি মোস্তফা নামের লঞ্চে করে নদী পারাপার হয়ে পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে আসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষ। কাল (শনিবার) থেকে অফিস খোলা। তাই কাজে যোগ দিতে আজ সকাল সকাল কর্মস্থল এলাকার বাসায় ফিরছি।’
পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার মনির খান বলেন, ঈদ শেষে লঞ্চে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে প্রতিটি লঞ্চে নির্ধারিতসংখ্যক যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে মানুষ দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আসছেন। এরপর লঞ্চে পদ্মা নদী পার হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন যাত্রীর.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঘ ট এল ক য় দ লতদ য় প র হয়
এছাড়াও পড়ুন:
চার দিনের জ্বরে ভুগে মারা গেল কিশোর
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের ফকিরহাট এলাকায় আশরাফুর রহমান (১৪) নামের এক কিশোর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গত শুক্রবার সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
আশরাফুর রহমান ওই এলাকার মিজানুর রহমানের একমাত্র ছেলে। সে সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সীতাকুণ্ডে এই প্রথম একজন মারা গেল।
আশরাফুর রহমানের দাদা এম এ আলীম আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার তাঁর নাতির জ্বর আসে। সামান্য ব্যথাও ছিল। জ্বর কমছে না দেখে রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর আশরাফুরকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গতকাল সোমবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। আজ ভোর পাঁচটার দিকে সে মারা যায়। দুপুরে মডেল মসজিদ এলাকায় জানাজার নামাজ শেষে ফকিরহাট নলুয়া দিঘি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আশরাফকে।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হাসপাতালের দায়িত্বগত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কিশোর ভালো ছিল। আজ ভোর চারটার দিকে তার পাতলা পায়খানা ও খিঁচুনি হয়। এরপর তারা দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পথে কিশোরটি মারা যায়।
সীতাকুণ্ডে আজ এক দিনেই ৬ জনের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত হয় বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন।