মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে চাঁদা দিয়ে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। এমনই অভিযোগ উঠেছে সংস্থাটির মিঠাপুকুর সার্কেলের সহকারী উপপরিদর্শক নুর ইসলামের বিরুদ্ধে। চাঁদা নেওয়ার একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সহকারী উপপরিদর্শক নুর ইসলাম স্থানীয় মুদি দোকানি শাহিনুরের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছেন। এ সময় দুই যুবকের তোপের মুখে পড়েন তিনি। তারা চাঁদা নেওয়ার অপরাধে তাঁকে (নুর ইসলাম) লাঠি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করছিলেন। এক পর্যায়ে রশি দিয়ে বেঁধে রাখার হুমকি দেন। এ সময় ওই কর্মকর্তা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত সেই স্থান থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

নুর ইসলাম মিঠাপুকুরে যোগদানের পর থেকেই মাদক কারবারিদের কাছে মাসিক চাঁদা আদায় করে আসছেন। প্রতি মাসের ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে তাঁকে চাঁদা দিতে হয়। এতে নির্ভয়ে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন মাদক কারবারিরা। শর্ত অনুযায়ী অভিযানের খবর আগেভাগে জানিয়ে দেওয়া হয় তাদের। যাদের সঙ্গে চুক্তি নেই, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রানীপুকুর ও পায়রাবন্দ ইউনিয়নে ৪২ জন মাদক কারবারির তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের অনেকে নুর ইসলামকে বা তাঁর সোর্সকে চাঁদা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। মাদকের ধরন অনুযায়ী মাসিক চাঁদা দেন তারা। স্থানীয়ভাবে তৈরি হাঁড়িয়ার জন্য ১ হাজার টাকা, গাঁজার জন্য ২ হাজার, চোলাই মদ ৩ হাজার, ইয়াবা ৫ হাজার, হেরোইন ৮ হাজার, ফেনসিডিলের জন্য ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে মাদকদ্রব্যের এই কর্মকর্তা আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা আদায় করে থাকেন অবৈধ কারবারিদের কাছ থেকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গাঁজা ব্যবসায়ী বলেন, ‘নুর ইসলাম স্যারকে বিকাশে দিই। টাকা না দিলে বাড়িতে এসে বসে থাকেন নুর ইসলাম।’

জেলহাজতে থাকা একজনের আত্মীয় বলেন, ‘ব্যবসা বন্ধ। তার পরও নুর ইসলাম ঈদের আগের দিন পর্যন্ত টাকার জন্য ঘুরেছেন।’

এ বিষয়ে নুর ইসলাম বলেন, ‘আমি আপনার সঙ্গে দেখা করব। দয়া করে এসব বিষয়ে কিছু লিখবেন না।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (খ সার্কেল) উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়া গেলে নুর ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ইসল ম কর মকর ত ক রব র র জন য ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কলেজছাত্র নিহত

নরসিংদীর রায়পুরায় তিতাস কমিউটার ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে মো. রওনক (১৭) নামের এক কলেজশিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রায়পুরার পলাশতলী ইউনিয়নের আশারামপুর এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।

নিহত মো. রওনক রায়পুরা সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। সে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রামের মইনুল হোসেনের ছেলে।

রেলওয়ে পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত ব্যক্তির স্বজন সূত্র জানায়, মুঠোফোনের ব্যাটারি মেরামত করতে গতকাল দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নরসিংদী শহরের উদ্দেশে রওনা হয় রওনক। বেলা সাড়ে তিনটায় মেথিকান্দা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী তিতাস কমিউটারের ছাদে চেপে বসে। যাত্রাবিরতি শেষে ট্রেনটি আবার যাত্রা শুরুর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যায় রওনক। রেললাইনের পাথরে আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁর লাশ রেললাইন থেকে সরিয়ে আনে ও ঘটনাটি নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে জানান। খবর পেয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করেন। এরই মধ্যে তাঁর স্বজনেরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করেন।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
  • নরসিংদীতে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কলেজছাত্র নিহত
  • ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে হামলা: সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়