সাকিল হকের ম্যাচবাক্স সংগ্রহ রীতিমতো অবাক করার মতো। আগ্রহটা হয়েছিল ছোটকালে তাঁর বাবার সংগ্রহ দেখে। সাকিল হকের বাবা নানা ধরনের ডাকটিকিট, মুদ্রা, ম্যাচবাক্স সংগ্রহ করতেন। এ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সাকিল ম্যাচবাক্স সংগ্রহে মন দেন। মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের ভাড়া বাসায় তিনি গড়ে তুলেছেন ব্যক্তিগত ম্যাচবাক্স জাদুঘর। ম্যাচবাক্স সংগ্রহের পাশাপাশি তিনি ম্যাচবাক্স নকশা করেন। দেশে তাঁর কাছেই ম্যাচবাক্সের সবচেয়ে বড় সংগ্রহ রয়েছে।
ছোটবেলায় ম্যাচবাক্স সংগ্রহ করলেও সাকিল হক তা বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি। সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। ২০১২ সাল থেকে মূলত নতুন করে সংগ্রহ শুরু করেন তিনি। অন্য দশটা সংগ্রহের মতো ম্যাচবাক্স না। একেক ধরনের ম্যাচবাক্স একেকভাবে সংরক্ষণ করেছেন সাকিল। কোনোটা প্লাস্টিক বাক্সে রেখেছেন। কোনোটা রেখেছেন প্লাস্টিক প্রোটেক্টর দিয়ে মুড়িয়ে। কারণ, তাঁর কাছে প্রতিটি ম্যাচবাক্স সন্তানের মতো। তাঁর জাদুঘরের কক্ষজুড়ে কাচের আলমারি; যার তাকে সাজানো ম্যাচবাক্স। এক নিত্যব্যবহার্য জিনিস ম্যাচবাক্স। যার নকশায় বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বা খাদ্যাভ্যাস ফুটে ওঠে। সাকিল মনে করেন বিষয়টি শিক্ষণীয়।
সে কারণে ২০১৬ সাল থেকে ম্যাচবাক্স নকশা করা শুরু করেন। সাকিল পারিবারিকভাবে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছেন। কর্মজীবনে তিনি একজন গ্রাফিক ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজে। পুরো মেধাটাই দিয়েছেন ম্যাচবাক্স নকশায়। একেক করে তিনি পাঁচ শতাধিক ম্যাচবাক্সের নকশা করেছেন দেশ-বিদেশে। এর মধ্যে মাত্র ১৫টি নকশা দিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠান ম্যাচ উৎপাদন করেছে। তাঁর করা নকশায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, চে গুয়েভারা, মাইকেল জ্যাকসন, ওসামা বিন লাদেন, হিটলার, মেরিলিন মনরোর মতো ব্যক্তিরা ফুটে উঠেছেন। আবার কোনো কোনো ম্যাচবাক্সে ফুটে উঠেছে সমাজ তথা পৃথিবীর বিভিন্ন ঘটনা বা প্রেক্ষাপট। নিজের নকশা দিয়ে নিজ খরচেও উৎপাদন করেছেন ম্যাচবাক্স। এর কারণ পৃথিবীতে নিয়মিতভাবে দেশলাইয়ের ব্যবহার কমে যাচ্ছে, দেশলাই বিলুপ্ত হচ্ছে এবং কমে যাচ্ছে দেশলাই সংগ্রাহক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংগ্রাহকরা সাকিলের নকশা করা ম্যাচবক্স সংগ্রহ করেন। ২০১৮ সালে নিজের সংগ্রহ নিয়ে সাকিল প্রথম ম্যাচবাক্স প্রদর্শনী করেন দৃক গ্যালারিতে। এখন ১৩২ দেশের ২২ হাজারের বেশি ম্যাচবাক্স রয়েছে তাঁর সংগ্রহে।
সংগ্রহের বেলায় সাকিল একটু নাছোড়বান্দা টাইপের। কোথাও কোনো দুর্লভ সংগ্রহের খবর শুনলে তা জোগাড় একটুও দেরি করেন না। এ কারণে তাঁর সংগ্রহে আছে ছোট-বড় বিভিন্ন আকার-আকৃতির ম্যাচবাক্স; যার বেশির ভাগই এখন পাওয়া যায় না। কোনো ম্যাচবাক্সে এক হাজার কাঠিও রাখা থাকে। আবার পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ম্যাচবাক্সটিও তাঁর সংগ্রহে আছে। এটি এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগের চেয়েও ছোট। এ ম্যাচবাক্সটি বিশ্বে মাত্র দুটি আছে। যার একটি সাকিলের সংগ্রহ সমৃদ্ধ করেছে। এমনটাই জানান তিনি। রাস্তা এমনকি ডাস্টবিন থেকেও দেশলাই সংগ্রহ করেছেন এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে। এ ছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গাড়ির জ্বালানির কাজে ব্যবহৃত ম্যাচবাক্স, রানী এলিজাবেথের ৭৫তম জন্মদিনে তৈরি করা ম্যাচবাক্স, ১৮ শতকের শুরুর দিকের ম্যাচবক্স সাকিলের কাছে রয়েছে। তাঁর সংগ্রহের ম্যাচবাক্সগুলো সিলিন্ডার, তাঁবু, বইসহ বিভিন্ন আকৃতির। এ সংগ্রহে আছে চামড়ার তৈরি ম্যাচবাক্স। টিনের প্যাকেটের ম্যাচবাক্স। তাঁর কাছে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বুকম্যাচও।
 কাজের সূত্রে ইংল্যান্ডে বসবাস করেছেন কিছুদিন। ইংল্যান্ডের ইতিহাস সমৃদ্ধ ম্যাচবক্স দেখে সেগুলো সংগ্রহের প্রতি তাঁর আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। দেশ-বিদেশের নানা জায়গায় ম্যাচবাক্স সংগ্রহের জন্য গিয়েছেন তিনি।  
এই সংগ্রহের একটি কেতাবি নাম আছে। যারা ম্যাচবাক্স সংগ্রহ করেন তাদের বলা হয় ফিলুমেনিস্ট। এ শখটির নাম হলো ফিলুমেনি। এ সংগ্রাহকদের মধ্যে স্লোভেনিয়ার স্যান্ডি সাকিলের ম্যাচবাক্সের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা। সাকিল বলেন, ‘আমার সংগ্রহের একটা বড় অংশ স্যান্ডির কাছ থেকে পাওয়া। বিশ্বের বড় বড় সব ফিলুমেনিস্টরা আমার ম্যাচবাক্স সংগ্রহে ভীষণ সাহায্য করেছেন।’ একবার এমনও হয়েছে, এক দিনেই তিনটি দেশ থেকে প্রায় এক হাজার ৫০০ ম্যাচবাক্স ডাকযোগে পেয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশে ম্যাচবাক্স নকশাকে সেভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। এ প্রসঙ্গে সাকিল বলেন, ‘যত্ন বা চিন্তা করে করা হয় না। জাস্ট করার জন্য করা। এটি যে শিল্পের অংশ হতে পারে, নান্দনিক হতে পারে, তা আমাদের চিন্তায় আসে না। শুধু বাণিজ্যিক চিন্তা মাথায় নিয়ে বানানো একই ধরনের ডিজাইন চলতে থাকে বছরের পর বছর।’ ২০১৬ সালে তিনি বাংলাদেশের ফিলুমেনিস্টদের নিয়ে ‘বাংলাদেশ ম্যাচবাক্স কালেক্টরস ক্লাব’ (বিএমসিসি) গড়ে তোলেন। বিশ্বের প্রথম অনলাইন ম্যাচবাক্স প্রদর্শনী এ ক্লাবই আয়োজন করে। ২০২১ সাল থেকে ‘দেশলাই’ নামে ফিলুমেনিস্টদের জন্য উপমহাদেশের প্রথম ত্রৈমাসিক জার্নাল প্রকাশ করে আসছে ক্লাবটি। সাকিল হক এর সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। সাকিলের একটি অনলাইন ‘ম্যাচবাক্স শপ’ আছে। ডিজাইন অনুযায়ী তাঁর ম্যাচবাক্সগুলো ২৫ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে পাওয়া যায়। তবে বিক্রির চেয়েও ম্যাচবাক্স সংগ্রহ সাকিলের কাছে প্রধান। এ কারণে কেউ সংগ্রহের আগ্রহ দেখালে তিনি উপহার হিসেবে তাঁর ঠিকানায় ম্যাচবাক্স পাঠিয়ে দেন।
কোনো পরিশ্রমই আসলে বিফলে যায় না। যদি পরিশ্রমের মধ্যে ভালোবাসা থাকে, লেগে থাকা যায়, সাকিল হকই এর জ্বলন্ত উদাহরণ। এক সময় ম্যাচবাক্সের নকশা বিনামূল্যে দিতে ম্যাচ কোম্পানির দ্বারে দ্বারে ঘুরতেন। তাদের বোঝাতে চেষ্টা করতেন, কেন ম্যাচবাক্সের ডিজাইন গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৫ সালে জামিল গ্রুপ সাকিলের করা ‘বাংলার রঙ’ শিরোনামে ১২টি ম্যাচবাক্স ডিজাইন কিনে নেয়। বিনিময়ে সাকিল ভালো পারিশ্রমিকও পেয়েছিলেন।
নিজের অক্লান্ত পরিশ্রমে সংগ্রহ করা শখের ম্যাচবাক্সগুলো ভালোভাবে যুগের পর যুগ থাকুক; প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যেন তা দেখতে পারে– এমনটাই মনেপ্রাণে চান সাকিল। সে জন্য দরকার একটু স্থায়ী জায়গা। যেখানে তৈরি করা যাবে স্থায়ী ম্যাচবাক্স জাদুঘর। তিনি বলেন, ‘ম্যাচবাক্সের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। কখনও অসুখ হলে আমি আমার ম্যাচবাক্সের সংগ্রহের পাশে গিয়ে দাঁড়াই, এগুলো আমাকে সেরে ওঠার মানসিক শক্তি দেয়।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ দ ঘর স ক ল হক র সবচ য় জ দ ঘর ড জ ইন কর ছ ন র নকশ র একট
এছাড়াও পড়ুন:
সোনার টয়লেট ‘আমেরিকা’ নিলামে উঠছে, সর্বনিম্ন দর কত জানেন
নিলামঘর সদবিস গতকাল শুক্রবার ইতালীয় শিল্পী মরিজিও ক্যাটেলানের তৈরি সম্পূর্ণ সোনার টয়লেটটি নিলামে তোলার কথা ঘোষণা করেছে। এ ভাস্কর্যটির নাম ‘আমেরিকা’।
সদবিস জানিয়েছে, এ শিল্পকর্ম এটাই দেখাতে চায়, কখনো কখনো শিল্পের ‘মূল্য’ আর তার বাজারে বিক্রির ‘মূল্য’ এক নয়। এটি শুধু শিল্পকর্মই নয়, একটি পুরোপুরি ব্যবহারযোগ্য টয়লেটও। এ টয়লেটেরই অনুরূপ একটি সংস্করণ ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ব্লেনহাইম প্রাসাদ থেকে চুরি হয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে।
১৮ নভেম্বর নিউইয়র্কে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। টয়লেটটির সর্বনিম্ন দর ধরা হয়েছে এর সোনার বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী। এতে ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় ১০১ দশমিক ২ কিলোগ্রাম (২২৩ পাউন্ড) খাঁটি সোনা, যার দাম এখন প্রায় ১০ মিলিয়ন (১ কোটি) মার্কিন ডলার (প্রায় ১২২ কোটি টাকা)।
সদবিসের নিউইয়র্ক শাখার সমসাময়িক শিল্প বিভাগের প্রধান ডেভিড গ্যালপারিন বলেন, ক্যাটেলান হচ্ছেন এমন একজন শিল্পী, যিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে সবাইকে ভাবাতে ও চমক দিতে পছন্দ করেন।
ক্যাটেলান শুধু বিতর্ক সৃষ্টিকারীই নন; বরং অত্যন্ত সফল শিল্পী। তাঁর আরেকটি কাজ, ‘কমেডিয়ান’। অর্থাৎ দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা। গত বছর নিউইয়র্কের এক নিলামে ৬২ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল শিল্পকর্মটি।
‘আমেরিকা’র দুটি সংস্করণ ২০১৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল। যেটি এবার নিলামে উঠছে, সেটি ২০১৭ সাল থেকে এক অজ্ঞাত সংগ্রাহকের কাছে রয়েছে। অন্য সংস্করণটি ২০১৬ সালে নিউইয়র্কের গুগেনহাইম জাদুঘরের একটি বাথরুমে প্রদর্শনের জন্য স্থাপন করা হয়। সেখানে ১ লাখের বেশি দর্শক সার বেঁধে এসেছিলেন।এর আগে ২০১৬ সালে ক্রিস্টিস নিলামে ক্যাটেলানের আরেকটি ভাস্কর্য ‘হিম’ ১ কোটি ৭২ লাখ ডলারে বিক্রি হয়। ভাস্কর্যটিতে নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলারকে হাঁটু গেড়ে প্রার্থনার ভঙ্গিতে দেখা যায়।
ক্যাটেলান নিজেই বলেছেন, তাঁর ‘আমেরিকা’ ভাস্কর্যটি অতিরিক্ত সম্পদ ও বিলাসিতাকে ব্যঙ্গ করে তৈরি করা হয়েছে। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘তুমি ২০০ ডলারের দুপুরের খাবার খাও বা ২ ডলারের হটডগ, শেষ ফলাফল টয়লেটে গিয়ে একই হয়।’
‘আমেরিকা’র দুটি সংস্করণ ২০১৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল। যেটি এবার নিলামে উঠছে, সেটি ২০১৭ সাল থেকে এক অজ্ঞাত সংগ্রাহকের কাছে রয়েছে। অন্য সংস্করণটি ২০১৬ সালে নিউইয়র্কের গুগেনহাইম জাদুঘরের একটি বাথরুমে প্রদর্শনের জন্য স্থাপন করা হয়। সেখানে ১ লাখের বেশি দর্শক সার বেঁধে এসেছিলেন।
মরিজিও ক্যাটেলান হচ্ছেন এমন একজন শিল্পী, যিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে সবাইকে ভাবাতে ও চমক দিতে পছন্দ করেন।ডেভিড গ্যালপারিন, সদবিস-এর নিউইয়র্ক শাখার সমসাময়িক শিল্প বিভাগের প্রধানওই সময় গুগেনহাইম ভাস্কর্যটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাঁর প্রথম দফায় ক্ষমতায় থাকাকালে ধার দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কারণ তিনি জাদুঘর থেকে একটি ভ্যান গঘ চিত্রকর্ম ধার নিতে চেয়েছিলেন।
২০১৯ সালে ‘আমেরিকা’ প্রদর্শিত হয় উইনস্টন চার্চিলের জন্মস্থান হিসেবে বিখ্যাত ব্লেনহাইম প্রাসাদে। কিন্তু প্রদর্শনীর কয়েক দিনের মধ্যেই একদল চোর ভবনে ঢুকে সেটি পাইপলাইন থেকে খুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।
চলতি বছরের শুরুতে দুই ব্যক্তিকে ওই চুরির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে সোনার টয়লেটটি আজও উদ্ধার করা যায়নি। তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, এটি সম্ভবত ভেঙে গলিয়ে ফেলা হয়েছে।
গ্যালপারিন বলেন, তিনি অনুমান করতে চান না ‘আমেরিকা’ শেষ পর্যন্ত কত দামে বিক্রি হতে পারে। তবে তাঁর ভাষায়, ক্যাটেলানের ‘ডাকটেপে আটকানো কলা’ শিল্পকর্মটি যেমন ‘অমূল্য ধারণা থেকে মূল্য তৈরি করা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, ‘আমেরিকা’ ঠিক তার উল্টো। এখানে মূল উপকরণটিই (সোনা) অত্যন্ত মূল্যবান, যা বেশির ভাগ শিল্পকর্মে থাকে না।
ক্যাটেলান বলেছেন, তাঁর ‘আমেরিকা’ ভাস্কর্যটি অতিরিক্ত সম্পদ ও বিলাসিতাকে ব্যঙ্গ করে তৈরি করা হয়েছে। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘তুমি ২০০ ডলারের দুপুরের খাবার খাও বা ২ ডলারের হটডগ, শেষ ফলাফল টয়লেটে গিয়ে একই হয়।’‘আমেরিকা’ প্রদর্শিত হবে সদবিসের নতুন নিউইয়র্ক কার্যালয় ব্রয়্যার বিল্ডিংয়ে, ৮ নভেম্বর নিলাম শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত। এটি একটি বাথরুমে স্থাপন করা হবে, যা দর্শকেরা কাছ থেকে দেখতে পাবেন।
তবে গুগেনহাইম ও ব্লেনহাইম প্রাসাদের মতো এবার দর্শকদের টয়লেটটি ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে না। তাঁরা শুধু দেখতে পারবেন, কিন্তু ফ্লাশ করতে পারবেন না।
আরও পড়ুনসোনার আস্ত একটি কমোড চুরি করেছিলেন তিনি০৩ এপ্রিল ২০২৪