Samakal:
2025-06-16@08:53:04 GMT

সাকিলের ম্যাচবাক্সের জাদুঘর

Published: 5th, April 2025 GMT

সাকিলের ম্যাচবাক্সের জাদুঘর

সাকিল হকের ম্যাচবাক্স সংগ্রহ রীতিমতো অবাক করার মতো। আগ্রহটা হয়েছিল ছোটকালে তাঁর বাবার সংগ্রহ দেখে। সাকিল হকের বাবা নানা ধরনের ডাকটিকিট, মুদ্রা, ম্যাচবাক্স সংগ্রহ করতেন। এ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সাকিল ম্যাচবাক্স সংগ্রহে মন দেন। মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের ভাড়া বাসায় তিনি গড়ে তুলেছেন ব্যক্তিগত ম্যাচবাক্স জাদুঘর। ম্যাচবাক্স সংগ্রহের পাশাপাশি তিনি ম্যাচবাক্স নকশা করেন। দেশে তাঁর কাছেই ম্যাচবাক্সের সবচেয়ে বড় সংগ্রহ রয়েছে।

ছোটবেলায় ম্যাচবাক্স সংগ্রহ করলেও সাকিল হক তা বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি। সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। ২০১২ সাল থেকে মূলত নতুন করে সংগ্রহ শুরু করেন তিনি। অন্য দশটা সংগ্রহের মতো ম্যাচবাক্স না। একেক ধরনের ম্যাচবাক্স একেকভাবে সংরক্ষণ করেছেন সাকিল। কোনোটা প্লাস্টিক বাক্সে রেখেছেন। কোনোটা রেখেছেন প্লাস্টিক প্রোটেক্টর দিয়ে মুড়িয়ে। কারণ, তাঁর কাছে প্রতিটি ম্যাচবাক্স সন্তানের মতো। তাঁর জাদুঘরের কক্ষজুড়ে কাচের আলমারি; যার তাকে সাজানো ম্যাচবাক্স। এক নিত্যব্যবহার্য জিনিস ম্যাচবাক্স। যার নকশায় বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বা খাদ্যাভ্যাস ফুটে ওঠে। সাকিল মনে করেন বিষয়টি শিক্ষণীয়।

সে কারণে ২০১৬ সাল থেকে ম্যাচবাক্স নকশা করা শুরু করেন। সাকিল পারিবারিকভাবে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছেন। কর্মজীবনে তিনি একজন গ্রাফিক ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজে। পুরো মেধাটাই দিয়েছেন ম্যাচবাক্স নকশায়। একেক করে তিনি পাঁচ শতাধিক ম্যাচবাক্সের নকশা করেছেন দেশ-বিদেশে। এর মধ্যে মাত্র ১৫টি নকশা দিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠান ম্যাচ উৎপাদন করেছে। তাঁর করা নকশায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, চে গুয়েভারা, মাইকেল জ্যাকসন, ওসামা বিন লাদেন, হিটলার, মেরিলিন মনরোর মতো ব্যক্তিরা ফুটে উঠেছেন। আবার কোনো কোনো ম্যাচবাক্সে ফুটে উঠেছে সমাজ তথা পৃথিবীর বিভিন্ন ঘটনা বা প্রেক্ষাপট। নিজের নকশা দিয়ে নিজ খরচেও উৎপাদন করেছেন ম্যাচবাক্স। এর কারণ পৃথিবীতে নিয়মিতভাবে দেশলাইয়ের ব্যবহার কমে যাচ্ছে, দেশলাই বিলুপ্ত হচ্ছে এবং কমে যাচ্ছে দেশলাই সংগ্রাহক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংগ্রাহকরা সাকিলের নকশা করা ম্যাচবক্স সংগ্রহ করেন। ২০১৮ সালে নিজের সংগ্রহ নিয়ে সাকিল প্রথম ম্যাচবাক্স প্রদর্শনী করেন দৃক গ্যালারিতে। এখন ১৩২ দেশের ২২ হাজারের বেশি ম্যাচবাক্স রয়েছে তাঁর সংগ্রহে।

সংগ্রহের বেলায় সাকিল একটু নাছোড়বান্দা টাইপের। কোথাও কোনো দুর্লভ সংগ্রহের খবর শুনলে তা জোগাড় একটুও দেরি করেন না। এ কারণে তাঁর সংগ্রহে আছে ছোট-বড় বিভিন্ন আকার-আকৃতির ম্যাচবাক্স; যার বেশির ভাগই এখন পাওয়া যায় না। কোনো ম্যাচবাক্সে এক হাজার কাঠিও রাখা থাকে। আবার পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ম্যাচবাক্সটিও তাঁর সংগ্রহে আছে। এটি এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগের চেয়েও ছোট। এ ম্যাচবাক্সটি বিশ্বে মাত্র দুটি আছে। যার একটি সাকিলের সংগ্রহ সমৃদ্ধ করেছে। এমনটাই জানান তিনি। রাস্তা এমনকি ডাস্টবিন থেকেও দেশলাই সংগ্রহ করেছেন এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে। এ ছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গাড়ির জ্বালানির কাজে ব্যবহৃত ম্যাচবাক্স, রানী এলিজাবেথের ৭৫তম জন্মদিনে তৈরি করা ম্যাচবাক্স, ১৮ শতকের শুরুর দিকের ম্যাচবক্স সাকিলের কাছে রয়েছে। তাঁর সংগ্রহের ম্যাচবাক্সগুলো সিলিন্ডার, তাঁবু, বইসহ বিভিন্ন আকৃতির। এ সংগ্রহে আছে চামড়ার তৈরি ম্যাচবাক্স। টিনের প্যাকেটের ম্যাচবাক্স। তাঁর কাছে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বুকম্যাচও।
কাজের সূত্রে ইংল্যান্ডে বসবাস করেছেন কিছুদিন। ইংল্যান্ডের ইতিহাস সমৃদ্ধ ম্যাচবক্স দেখে সেগুলো সংগ্রহের প্রতি তাঁর আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। দেশ-বিদেশের নানা জায়গায় ম্যাচবাক্স সংগ্রহের জন্য গিয়েছেন তিনি।  

এই সংগ্রহের একটি কেতাবি নাম আছে। যারা ম্যাচবাক্স সংগ্রহ করেন তাদের বলা হয় ফিলুমেনিস্ট। এ শখটির নাম হলো ফিলুমেনি। এ সংগ্রাহকদের মধ্যে স্লোভেনিয়ার স্যান্ডি সাকিলের ম্যাচবাক্সের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা। সাকিল বলেন, ‘আমার সংগ্রহের একটা বড় অংশ স্যান্ডির কাছ থেকে পাওয়া। বিশ্বের বড় বড় সব ফিলুমেনিস্টরা আমার ম্যাচবাক্স সংগ্রহে ভীষণ সাহায্য করেছেন।’ একবার এমনও হয়েছে, এক দিনেই তিনটি দেশ থেকে প্রায় এক হাজার ৫০০ ম্যাচবাক্স ডাকযোগে পেয়েছেন তিনি। 

বাংলাদেশে ম্যাচবাক্স নকশাকে সেভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। এ প্রসঙ্গে সাকিল বলেন, ‘যত্ন বা চিন্তা করে করা হয় না। জাস্ট করার জন্য করা। এটি যে শিল্পের অংশ হতে পারে, নান্দনিক হতে পারে, তা আমাদের চিন্তায় আসে না। শুধু বাণিজ্যিক চিন্তা মাথায় নিয়ে বানানো একই ধরনের ডিজাইন চলতে থাকে বছরের পর বছর।’ ২০১৬ সালে তিনি বাংলাদেশের ফিলুমেনিস্টদের নিয়ে ‘বাংলাদেশ ম্যাচবাক্স কালেক্টরস ক্লাব’ (বিএমসিসি) গড়ে তোলেন। বিশ্বের প্রথম অনলাইন ম্যাচবাক্স প্রদর্শনী এ ক্লাবই আয়োজন করে। ২০২১ সাল থেকে ‘দেশলাই’ নামে ফিলুমেনিস্টদের জন্য উপমহাদেশের প্রথম ত্রৈমাসিক জার্নাল প্রকাশ করে আসছে ক্লাবটি। সাকিল হক এর সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। সাকিলের একটি অনলাইন ‘ম্যাচবাক্স শপ’ আছে। ডিজাইন অনুযায়ী তাঁর ম্যাচবাক্সগুলো ২৫ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে পাওয়া যায়। তবে বিক্রির চেয়েও ম্যাচবাক্স সংগ্রহ সাকিলের কাছে প্রধান। এ কারণে কেউ সংগ্রহের আগ্রহ দেখালে তিনি উপহার হিসেবে তাঁর ঠিকানায় ম্যাচবাক্স পাঠিয়ে দেন।

কোনো পরিশ্রমই আসলে বিফলে যায় না। যদি পরিশ্রমের মধ্যে ভালোবাসা থাকে, লেগে থাকা যায়, সাকিল হকই এর জ্বলন্ত উদাহরণ। এক সময় ম্যাচবাক্সের নকশা বিনামূল্যে দিতে ম্যাচ কোম্পানির দ্বারে দ্বারে ঘুরতেন। তাদের বোঝাতে চেষ্টা করতেন, কেন ম্যাচবাক্সের ডিজাইন গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৫ সালে জামিল গ্রুপ সাকিলের করা ‘বাংলার রঙ’ শিরোনামে ১২টি ম্যাচবাক্স ডিজাইন কিনে নেয়। বিনিময়ে সাকিল ভালো পারিশ্রমিকও পেয়েছিলেন।

নিজের অক্লান্ত পরিশ্রমে সংগ্রহ করা শখের ম্যাচবাক্সগুলো ভালোভাবে যুগের পর যুগ থাকুক; প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যেন তা দেখতে পারে– এমনটাই মনেপ্রাণে চান সাকিল। সে জন্য দরকার একটু স্থায়ী জায়গা। যেখানে তৈরি করা যাবে স্থায়ী ম্যাচবাক্স জাদুঘর। তিনি বলেন, ‘ম্যাচবাক্সের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। কখনও অসুখ হলে আমি আমার ম্যাচবাক্সের সংগ্রহের পাশে গিয়ে দাঁড়াই, এগুলো আমাকে সেরে ওঠার মানসিক শক্তি দেয়।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ দ ঘর স ক ল হক র সবচ য় জ দ ঘর ড জ ইন কর ছ ন র নকশ র একট

এছাড়াও পড়ুন:

‘রক্ত দিয়ে যে আনন্দ পাওয়া যায়, তা আর অন্য কিছুতেই নেই’

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর আনন্দিপুর গ্রামের মামুন মিয়া (২২) ছোটবেলা থেকে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। প্রায় প্রতি মাসেই তাঁর একাধিক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এক সময় রক্তের জোগাড় বেশ কষ্টসাধ্যই হয়ে ওঠে। মানুষ বিনা স্বার্থে রক্ত দিতে চাইতেন না। ২০১৬ সাল থেকে পরিবারটিকে রক্তের জন্য আর কাউকে অনুরোধ করতে হচ্ছে না। মামুনের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

সম্প্রতি মামুনের মা মাজেদা বেগম অতীতের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘পোলার রক্তের লাইগ্গা মাইনষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। কেউ রক্ত দিতে চাইতো না। মানুষ টাকা ভিক্ষা চায়, আর আমি মানুষের কাছে আমার পোলার জন্য রক্ত ভিক্ষা করছি। শইল্যে রক্ত না ভরলে আমার পোলা মইরা যাইতো।’

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তি, জরুরি বা সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার, ক্যানসার, থ্যালাসেমিয়া কিংবা কিডনি আক্রান্ত রোগীর জন্য প্রায়ই প্রয়োজন হয় রক্তের। আত্মীয়স্বজন বা চেনাজানা কারও কাছে প্রয়োজনমাফিক রক্ত না পেয়ে অনেকেই ছুটে যান স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠনের কাছে। খবর পেয়ে স্বেচ্ছাসেবীরা দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রক্তদাতাকে খুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করেন। আর মানুষের জীবন বাঁচানোর মতো মহৎ এই কাজেই তাঁদের আনন্দ বলে জানান ময়মনসিংহের ‘ব্রহ্মপুত্র ব্লাড কল্যাণ সোসাইটি’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কয়েকজন কর্মী।

শুধু রক্তদান নয়, সমাজ পরিবর্তনে নানা কাজও করে চলেছে তরুণদের নিয়ে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট এটি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। তবে এর দু-এক বছর আগেই সংগঠনটির কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানান সংগঠনটির মূল পরিকল্পনাকারী মমিনুর রহমান। তাঁর বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ এলাকায়।

সম্প্রতি মমিনুর রহমান বলেন, ‘শুধু রক্তের অভাবে একটি মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে না, এই চিন্তা থেকে কাজ শুরু করি। ময়মনসিংহে রক্তদান নিয়ে কাজ করে—এমন কোনো সংগঠন ছিল না। তখন স্থানীয়ভাবে মানুষকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর ৩৯ জনকে নিয়ে প্রথম সভা করি। পরে সেখান থেকে রক্তদানের এই সংগঠন করার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। যেহেতু ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বসে ওই সভা হয়েছিল, তাই সংগঠনটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ব্রহ্মপুত্র ব্লাড কল্যাণ সোসাইটি’। ‘আর্তের মুখে হাসি ফোটানোই হয় যদি মানবতা, তবে তার শ্রেষ্ঠ সেবক হলো প্রতিটি রক্তদাতা’, এই স্লোগান সামনে রেখে শুরু হয় এর যাত্রা।

সংগঠনটি থেকে জানানো হয়েছে, রক্তদাতা তরুণেরা বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সংগঠনটির একটি কমিটি ও ফেসবুক পেজ আছে। এর মাধ্যমে কিংবা মুঠোফোনে খবর পেয়েই রক্ত দিতে ছুটে যান তরুণেরা। তরুণদের তৎপরতায় দিন দিন সংগঠনটির পরিসর বাড়ছে। বর্তমানে এই সংগঠনের প্রায় ৫০ হাজার সদস্য আছেন, যাঁরা নিজেরা রক্তদান করেন এবং রক্তদানে অন্য তরুণদের উৎসাহিত করেন। ২০ বারের বেশি রক্ত দিয়েছেন, এমন রক্তদাতা আছেন ৮০ জন, যার ৬০ জনই শিক্ষার্থী। শুধু ময়মনসিংহ শহরেই ইতিমধ্যে ৩৫ হাজার ব্যাগ রক্ত দিয়েছেন সংগঠনটির তরুণেরা। এর মধ্যে প্রায় ২৩ হাজার ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস ২০১৮ সাল থেকে ব্রহ্মপুত্র ব্লাড কল্যাণ সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত আছেন। এ পর্যন্ত তিনি ২৬ বার রক্ত দিয়েছেন। অন্যদের উৎসাহী করতে তিনি বলেন, ‘মুমূর্ষু অবস্থায় মানুষ রক্তের কারণে মারা যাবে, এটি কখনো হতে পারে না। তাই অসুস্থ জটিল রোগীর খবর পেলেই রক্ত দিতে যাই। রক্ত দিয়ে যে আনন্দ পাওয়া যায়, তা আর অন্য কিছুতেই নেই।’

সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি আবিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সুমন রাহাত। স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত আবিদুর রহমান বলেন, ‘যাঁদের রক্তের প্রয়োজন, তাঁরা আমাদের ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করেন। অথবা রক্তের প্রয়োজন ফেসবুকে কারও স্ট্যাটাস দেখলেই আমরা নিজে থেকে যোগাযোগ করে রক্তের ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। আমরা রক্তদানের মাধ্যমে অন্যের জীবন বাঁচিয়ে আনন্দিত হই। আমরা মানুষ বাঁচানোর এই আনন্দ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। গ্রামে, পাড়ায় মহল্লায় রক্তের জন্য মানুষ যেন না মরে, এটিই আমাদের লক্ষ্য।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কোটার অধিনায়ক বাভুমা ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে করমর্দন
  • ‘রক্ত দিয়ে যে আনন্দ পাওয়া যায়, তা আর অন্য কিছুতেই নেই’
  • সঞ্জয় তার বন্ধুদের সঙ্গে রাত কাটাতে আমাকে বাধ্য করেছিল: কারিশমা