আদালতের রায়ও বিপক্ষে গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের। গতকাল শুক্রবার সর্বসম্মতিক্রমে ইউনের অভিশংসন বহাল রাখার পক্ষে ভোট দেন দেশটির সাংবিধানিক আদালতের বিচারকদের প্যানেল। এ রায়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির প্রেসিডেন্টের পদ থেকে তাঁকে অপসারণ করা হচ্ছে।

গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় অযাচিতভাবে সামরিক আইন জারির দায়ে প্রেসিডেন্ট ইউন সুককে অভিশংসন ও বরখাস্ত করা হয়। তখন পার্লামেন্টের ভোটে তাঁকে সাময়িকভাবে অপসারণ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, বিষয়টি সাংবিধানিক আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু এতেও শেষ রক্ষা হলো না ইউন সুকের। আগামী দুই মাস, অর্থাৎ পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ইউনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হলেও দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রাজধানী সিউলের রাস্তায় ইউন সমর্থক ও বিরোধী হাজারো বিক্ষোভকারী অবস্থান নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট হ্যান ডাক-স্যু জননিরাপত্তা বজায় রাখতে জরুরি আদেশ জারি করেছেন।

গত বছর তড়িঘড়ি সামরিক আইন জারি করে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দেন ইউন সুক ইওল। গতকাল আদালত রায়ে বলেছে, ইওলের সামরিক শাসন জারি ‘ন্যায়সংগত’ ছিল না। সাংবিধানিক আদালতের কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট বিচারপতি মুন হিয়ং-বে বলেন, জাতীয় জরুরি পরিস্থিতির কোনো অস্তিত্ব ছিল না। ওই পরিস্থিতি সেনা মোতায়েন ছাড়া ভিন্ন উপায়ে সমাধান করা সম্ভব ছিল। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর স থ ত ইউন স ক

এছাড়াও পড়ুন:

দুই পরিবর্তনে কেমন হবে বাংলাদেশের একাদশ 

কলম্বোয় সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ বাংলাদেশের পক্ষে ছিল। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বোলাররা ২৪৫ রানের লক্ষ্য এনে দিয়েছিলেন। ১ উইকেটে বাংলাদেশ ১০০ রানও করে ফেলেছিল। কিন্তু হুট করে ব্যাটিং ধসে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে মেহেদী মিরাজদের।

যার দায় ব্যাটারদের দিকেই যাবে। এমনকি দলের পক্ষে সর্বাধিক ৬২ রান তানজিদ তামিম ম্যাচ শেষে নিজে সেট হয়ে ইনিংস বড় করতে না পেরে, দলের প্রয়োজনের সময় আউট হয়ে নিজের কাঁধে দায় নিয়েছেন। সেখানে লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী মিরাজদের পক্ষে ঢাল ধরার কোন সুযোগই নেই।

তারপরও সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে অপরিবর্তিত থাকতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। ওপেনিংয়ে তানজিদ ও পারভেজ ইমনের জুটির সঙ্গে টপ অর্ডারে নাজমুল শান্ত একাদশে থাকবেন। লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয় ও মিরাজের কাঁধে থাকবে মিডল অর্ডারের দায়িত্ব।

ব্যাটিং অর্ডার একই থাকলেও বোলিং আক্রমণে আসতে পারে দুই পরিবর্তন। পেসার তাসকিন আহমেদ দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের একাদশে নাও থাকতে পারেন। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরায় মেডিকেল বিভাগের  পরামর্শে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। একাদশে ফেরানো হতে পারে শেষ ম্যাচে।

তার সঙ্গে স্পিন আক্রমণে আসতে পারে পরিবর্তন। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন একাদশে ঢুকবেন। তাকে জায়গা করে দিতে প্রথম ম্যাচে অভিষেক হওয়া বাঁ হাতি স্পিনার তানভীর ইসলামকে বেঞ্চে বসতে হতে পারে। অবশ্য কলম্বোর উইকেট বেশি স্পিন বান্ধব মনে হলে টিম ম্যানেজমেন্ট তিন স্পিনার ও দুই পেসার খেলানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া শ্রীলঙ্কা একই একাদশ নিয়ে নামতে পারে। কলম্বোয় থেমে থেমে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। উইকেট ও কন্ডিশনের চাওয়া বিবেচনা করে একাদশে এক পরিবর্তন আনতে পারে লঙ্কানরাও। পেস অলরাউন্ডার মিলান রত্নায়েকের জায়গায় একাদশে ঢুকতে পারেন দুনিথ ভেল্লালাগে।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন, নাজমুল শান্ত, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী মিরাজ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তানজিম সাকিব, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কার সম্ভাব্য একাদশ: নিশান মাদুষ্কা, পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, চারিথা আশালঙ্কা, জানিথ লিয়ানাগে, মিলান রত্নায়েকে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহেশ থিকসানা, ইশান মালিঙ্কা, আসিথা ফার্নান্দো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ