ঈদ উৎসবে বিনোদন কনটেন্ট বা পণ্য নির্বাচনে সার্চের বিকল্প নেই। ডিজিটাল বিনোদন এখন সার্চ ছাড়া অসম্ভব। সুদক্ষ ও নির্ভরযোগ্য ওয়েব ব্রাউজার ছাড়া ঠিকঠাক তথ্যের খোঁজ পাওয়া যেন দুরূহ। মাইক্রোসফট এডজ ব্রাউজারে বিশেষ সংযোজন তেমনই উদাহরণ।
মাইক্রোসফট উদ্ভাবিত আধুনিক ব্রাউজার, যা দেবে দ্রুত ও নিরাপদ অনলাইন অভিজ্ঞতা। ব্রাউজারটি গ্রাউন্ডআপ থেকে নির্মিত। এ ব্রাউজার ভক্তদের কনটেন্ট চাহিদা পূরণে সঠিক পণ্য খুঁজে নিতে সহায়তা করে। মাইক্রোসফট যখন প্রথম নতুন ব্রাউজার উদ্ভাবনের ঘোষণা দেয়, তখন কিছুটা সংশয় ছিল।
অনেকে ভেবেছিলেন, অন্য কোনো ব্রাউজার থেকে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করতেই সবাই পছন্দ করেন। তাই অন্য ধারার ব্রাউজার সহজে জায়গা করে নিতে পারবে না। কিন্তু আদৌ তেমনটা হয়নি। মাইক্রোসফট ব্রাউজার শুরু থেকেই গ্রাহকপ্রিয়তা নিশ্চিত করে এগিয়ে চলেছে। গবেষকরা বলছেন, ব্রাউজার প্রতিযোগিতায় গুগল ক্রোম অনেক এগিয়েছে। তবে মাইক্রোসফটের সর্বশেষ অফার নতুন প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করেছে। মাইক্রোসফট এডজ এখন ইন্টারনেটে তৃতীয় জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার।
সবাই যেভাবে ওয়েব ব্রাউজ করে, তার মধ্যে সবচেয়ে জরুরি গোপন তথ্যের সুরক্ষা। মূলত এটি বিনামূল্যের ওপেন সোর্স ওয়েব ব্রাউজার, যা ক্রোমিয়াম বৈশিষ্ট্যে নির্মিত। সার্চ ইঞ্জিন, যা গুগল ক্রোমকে শক্তিশালী করে। সাহসী ব্রাউজার গ্রাহককে অনলাইনে ব্রাউজ করার সময় গোপনীয়তা, নিরাপত্তা ও গতির প্রশ্নে আপস করার সুযোগ দেয় না।
ট্র্যাকিং কুকিজ ও অনুপ্রবেশকারী বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভর করার বদলে সাহসী ব্রাউজার ক্ষতিকারক সবকিছু সমূলে ব্লক করতে সক্ষম। ডিজিটাল ক্যানভাসে অনেকে সুরক্ষিত থাকতে ক্ষতিকারক ওয়েবসাইট থেকে বেনামি ব্রেভ লেজারের ওপর নির্ভর করে। সাহসী ব্রাউজর হিসেবে খ্যাত ব্রেভ তথ্য খুঁজতে দ্রুত ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে, যা স্মার্ট ডিভাইসের জন্য সহজে অপ্টিমাইজ সুবিধা দেয় বলে নির্মাতারা জানায়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’
এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।