অবসর পেলেই মন্দির দর্শনে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যান সারা আলি খান। অনুরাগীদের অনেকেই তা জানেন। তারপরও এ বলিউড অভিনেত্রীর মন্দির দর্শনের বিষয়টি নিয়ে তারা মেতে উঠছেন নতুন জল্পনায়।
নেটিজেনদের কেউ কেউ দাবি করেছেন, নতুন করে প্রেমে মজেছেন এই অভিনেত্রী। আর সেই প্রেমিক পুরুষের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করার বাসনায় মন্দিরে গিয়ে আশীর্বাদ নিচ্ছেন। তবে নেটিজেনদের এই দাবি সত্য কিনা, তার শক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
কামাখ্যার মন্দিরে সারাকে যে এক রহস্যময় পুরুষের সঙ্গে দেখা গেছে, তার প্রমাণ তুলে ধরেছেন ছবিশিকারিরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি আরও একবার কামাখ্যা দর্শনে গিয়েছিলেন সারা। মন্দির দর্শনের মুহূর্তে শিকারিরা যে ছবিগুলো তুলেছেন, তার ফ্রেম নজর কেড়েছে এক ‘রহস্যময় পুরুষ’।
ছবিতে আরও দেখা গেছে, সাদা শিফনের সালোয়ার পরে সিঁদুরে কপাল রাঙিয়েছেন সারা। মন্দিরে প্রবেশ করেই একমনে ধ্যানমগ্ন হয়ে আছেন। পুজোর পর নৌকা চড়ে ব্রহ্মপুত্র বুকে ভেসে বাড়ানোর মুহূর্তটাও ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছেন অনুরাগীরা। তবে সেই গুচ্ছখানেক ছবির মধ্যে একটি ছবি নিয়ে মূলত প্রেমের গুঞ্জনের সূত্রপাত।
সেই ছবিতে দেখা গেছে, কামাখ্যার নিয়মমাফিক পূজা দেওয়ার পর রীতি অনুযায়ী সিঁদুরেমাখা মূর্তিতে কাঁচা পয়সা দিচ্ছেন সারা। আর সেখানেই অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন একজন, যিনি পূজার লাল উত্তরীয় গলায় জড়িয়ে সারার পাশে দাঁড়িয়ে আশীর্বাদ নিচ্ছেন। তা দেখেই নেটিজেনরা একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছেন সারাকে। তাঁর সঙ্গে থাকা রহস্যময় পুরুষটি নতুন প্রেমিক কিনা? সেই প্রশ্নই জোরালো হয়ে উঠেছে নেট দুনিয়ার বাসিন্দাদের কাছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র আল খ ন মন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।