আবারও বাড়ি ছাড়লেন কুমিল্লার সেই মুক্তিযোদ্ধা
Published: 5th, April 2025 GMT
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে হেনস্তার শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু নিরাপত্তা হীনতায় আবারও বাড়ি ছেড়েছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে নিজ গ্রামে তাকে হেনস্তা করার পর তিনি বাড়ি ছেড়ে ফেনীতে আশ্রয় নেন। সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে ঈদ উদযাপন করতে তিনি সপরিবারে বাড়িতে আসার পর গত বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) গভীর রাতে বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। মুক্তিযোদ্ধা কানুর পরিবারের অভিযোগ আগে জুতার মালা ঝুলিয়ে হেনস্তা করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় যারা আসামি ছিলেন তারাই এবার বাড়িতে হামলা করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুর ছেলে এবং উপজেলার বাতিসা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা শনিবার সন্ধ্যায় সমকালকে বলেন, প্রশাসনের আশ্বাসে ঈদে বাবা-মা বাড়িতে যান। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সালাহ উদ্দিন আতিক ও আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের সশস্ত্র দল আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা রামদা, কিরিচ ও লাঠিসোটা দিয়ে তাদের ঘরের দরজা-জানালা ও ফটক ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পূর্বের ঘটনায় মামলা হলেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। বাবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এখন মামলা করে কি হবে? নিরাপত্তহীনতায় বাবা বাড়ি ছেড়ে ফেনীতে আমার বাসায় চলে এসেছেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়, আমাদের আসার খবর পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে। আমরা ওই মুক্তিযোদ্ধাকে বলেছি যেন মামলা করেন। কিন্তু তারা তারা শুধু মুখেই বলেছে ‘যারা পূর্বের ঘটনা ঘটিয়েছে তারাই এই হামলা করতে পারেন।’ কিন্তু কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি।
এর আগে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুর (৭৮) গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে হেনস্তা করা হয়। তিনি কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এ ঘটনায় স্থানীয় জামায়াত সমর্থক আবুল হাসেম ও অহিদুর রহমানসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় সব আসামিরা বর্তমানে জামিনে মুক্ত।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষকদের অসতর্কতায় রসায়ন বিভাগের সব পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য
ছবি: কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ফেসবুক থেকে নেওয়া