পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) এবার ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ধারাভাষ্যেও থাকবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব। পাকিস্তানের ফ্রাঞ্চাইজি এই প্রতিযোগিতায় ধারাভাষ্য দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আতাহার আলী খান। আইসিসি ইভেন্ট এবং বাংলাদেশের সব আন্তর্জাতিক সিরিজে আতাহার নিয়মিত মুখ। এবার তাকে পিএসএলও যুক্ত করেছে তাদের ধারাভাষ্য প্যানেলে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মতো করে না হলেও, পাকিস্তান সব সময়ই ধারাভাষ্যে মান ধরে রেখেছে এবং ভালোমানের ও আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত ধারাভাষ্যকারদের দিয়ে পিএসএল জমিয়ে রেখেছে। এবারও তারা সেই পথেই হেঁটেছে। রোববার (৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পিএসএলের দশম আসরের জন্য এক তারকাখচিত ধারাভাষ্য প্যানেল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। যেখানে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি হিসেবে রাখা হয়েছে আতাহার আলীকে।
এছাড়াও পিএসএলের ধারাভাষ্য প্যানেলে থাকছেন ইংল্যান্ডের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক স্যার অ্যালিস্টার কুক, এমসিসির সাবেক সভাপতি মার্ক নিকোলাস, ডমিনিক কর্ক এবং মার্ক বুচার। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে থাকছেন জেপি ডুমিনি এবং মাইক হেইসম্যান। নিউ জিল্যান্ডের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার মার্টিন গাপটিলও থাকছেন এই প্যানেলে। থাকছেন অস্ট্রেলিয়ার দুইবারের নারী বিশ্বকাপজয়ী লিসা স্তালেকারও।
পাকিস্তান থেকে থাকছেন চারজন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক- আমির সোহেল, রমিজ রাজা, ওয়াকার ইউনুস ও ওয়াসিম আকরাম। তাদের সঙ্গে থাকবেন সাবেক টেস্ট খেলোয়াড় বাজিদ খান, পাকিস্তান নারী দলের সাবেক অধিনায়ক উরুজ মুমতাজ, এবং ক্রিকেট বিশ্লেষক সিকান্দার বখত।
এদিকে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ উর্দু ধারাভাষ্যও প্রচার করবে তারা। সেই প্যানেলে থাকবেন- আলি ইউনুস, আকিল সামার, মারিনা ইকবাল, সালমান বাট এবং তারিক সাঈদ। আগামী ১১ এপ্রিল শুরু পিএসএলের দশম আসর। বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার, লিটন দাস, রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা সুযোগ পেয়েছেন এবারের আসরে। লিটন ও রিশাদকে পুরো আসরে দেখা যাবে। নাহিদ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর যোগ দেবেন পিএসএলে।
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন